পুজো করা ফুল দিয়ে রং ও ধূপকাঠি

পরিবেশ দূষণ নিয়ে আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই কথা বলছি। বিভিন্ন জায়গায় পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। সেইরকমই নয়ডাতে একটি অভিনব উপায় অবলম্বন করা হয়েছে পরিবেশের রক্ষার্থে। প্রতিদিন বিভিন্ন মন্দিরে পুজোর কাজে প্রচুর ফুল লাগে তা আমরা জানি। সেই ফুলগুলি পুজোর পর সাধারণত নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয় বা অন্য কোনো পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। সেই ফুল থেকেও যথেষ্ট পরিবেশ দূষিত হয়।

     এই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে নয়ডার কয়েকটি মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুজোর ফুল দিয়ে তৈরী হচ্ছে অরগ্যানিক রং ও ধুপকাঠি। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছে। 'জিরো ওয়েস্ট প্রজেক্ট' হিসেবে যে অভিনব উপায় বের করা হয়েছে, তা অন্যান্য ব্যাপারেও পথ দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নয়ডা অথরিটিকে হর্টিকালচার বিভাগের কর্মীরা প্রতিদিন নয়ডার 'টি মন্দির থেকে ফুল সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারপর সেই ফুল দিয়েই তৈরী হচ্ছে ধূপকাঠি ও অরগ্যানিক রং।

      স্থানীয় ইসকন মন্দির, কালীবাড়ি মন্দির, দূর্গা মাতা মন্দির, হনুমান মন্দির, সনাতন ধর্ম মন্দির এবং শনি মন্দির এই কাজে অংশ নিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলাদের পচা ফুল দিয়ে ধূপকাঠি ও অরগ্যানিক রং তৈরী করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই নতুন পদ্ধতিতে তৈরী রং এবং ধূপকাঠি নয়ডার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তবে খুব শিগগিরই তা অন্যান্য জায়গাতেও পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

       এইভাবে যদি আমরা সব জায়গায় ফুল দিয়ে রং ও ধূপকাঠি তৈরী করার উদ্যোগ নিতে পারি, তাহলে পরিবেশের দূষণ অনেকটাই রোধ করা যেতে পারে তা বলাই বাহুল্য।এর আগেও কানপুরে এই রকম পরিত্যক্ত ফুল দিয়ে ধূপকাঠি, রং এবং বিশ্বের প্রথম ভার্মিকম্পোস্ট থার্মোকল তৈরী করা হয়েছিল। ব্যাঙ্গালোরে অব্যবহৃত ফুল থেকে এসেন্সিলয়াল অয়েল তৈরী করেছিলেন পরিমলা শিবপ্রসাদ নামে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পরে তিনি এই বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রিও নেন।   

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...