সেই ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। দেখতে দেখতে ১১ বছরে পা দিতে চলেছে এবছরের আইপিএল। আর এই ১০ বছরের যাত্রায় অনেক রদ বদল ঘটেছে, অনেক দল জয়ের মুকুট মাথায় পড়েছে আবার অনেক দলের অধরা রয়ে গেছে আইপিএল জয়ের আশা । আর এই হার ও জিতের টানাপোড়েনে প্রাপ্তি বলতে অরেঞ্জ ক্যাপ, পার্পেল ক্যাপ ও ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড। তৎকালিন মরশুমে সবচেয়ে বেশী রান পান যেই খেলোয়াড় তাকে দেওয়া হয় অরেঞ্জ ক্যাপ। ১০ বছরের ইতিহাসে অরেঞ্জ ক্যাপ পেয়েছেন যারা তাদের একটি তালিকা দেওয়া হল
২০০৮ – শন মার্শ (কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব) – আইপিএলের প্রথম মরশুমে ১১ ম্যাচে ৬১৬ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের অধিকারী হন তিনি। তার ঝুলিতে ছিল ১টি শতরান ও ৫টি অর্ধশত রান।
২০০৯- ম্যাথিউ হেডেন (চেন্নাই সুপার কিং) – আইপেএলের দ্বিতীয় মরশুমে ১২ ম্যাচে ৫৭২ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান হেডেন। তার ঝুলিতে ছিল ৫টি অর্ধশতরান।
২০১০ – শচিন তেন্দুলকার (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স) – বিষয়টা যখন ক্রিকেট তখন সেখানে শচিন নাম থাকবে না এটা ভাবাই যায় না। আর আইপিএল-ও তার ব্যতিক্রম নয় । ১৫ ম্যাচে ৫টি অর্ধশতরান সহ ৬১৮ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান শচিন তেন্দুলকার।
২০১১ – ক্রিস গেইল (রয়াল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর ) – টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ব্যাট হাতে বিরোধি দলের কতটা ত্রাস হতে পারে এই জামাইকান ব্যাটসম্যান তার প্রমাণ আইপিএল ২০১১। ১২ ম্যাচে ৬০৮ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান তিনি। ঝুলিতে ছিল ২টি শতরান ও ৩টি অর্ধশতরান ।
২০১২ – ক্রিস গেইল ( রয়াল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর) – ২০১১ সালের পর ফের ২০১২ সালে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হন ক্রিস গেইল। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার কোন ব্যাটসম্যান পর পর দুবার অরেঞ্জ ক্যাপ পেল । ১টি শতরান ও ৭টি অর্ধশতরান সহ ১৫ ম্যাচে ৭৩৩ রান করেন গেইল।
২০১৩ – মাইকেল হাসি ( চেন্নাই সুপার কিংন্স) - আইপিএলের ষষ্ঠ মরশুমে অরেঞ্জ ক্যাপ পান তিনি। ১৭ ম্যাচে ৬ টি অর্ধশতরান সহ ৭৩৩ রান করেণ এই অসি ব্যাটসম্যান।
২০১৪ – রবিন উথাপ্পা (কলকাতা নাইট রাইডার্স) - এই মরশুমে নাইট রাইডার্সের উত্থানের একমাত্র কান্ডারী ছিল রবিন উত্থাপা। গোটা টুর্ণামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকভাবে ভাল ব্যাট করে কলকাতা কে চ্যাম্পিয়নের করায় তার ভূমিকা ছিল অনেকটা। ১৬ ম্যাচে ৬৬০ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান তিনি।
২০১৫ – ডেভিড ওয়ার্নার ( সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদ) – আইপিএলের অষ্টম মরশুমে ১৪ ম্যাচে ৫৬২ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান তিনি। তার ঝুলিতে ছিল ৬টি অর্ধশতরান।
২০১৬ – বিরাট কোহলী (রয়াল চ্যালেজার্স ব্যাঙ্গালোর) – আইপিএলের এই মরশুমে ব্যাট হাতে বিরাটের ভয়াবহ রুপ দেখেছিল সব কটা বিরোধি দল। এই মরশুমে আপিএলের রেকর্ডের খাতা নতুন করে লেখে ব্যঙ্গালোরের অধিনায়ক। ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের ধারে কাছে ঘেষতে দেয় নি কোনো খেলোয়াড়কে। ৪টি শতরান ও ৭টি অর্ধশতরান করে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটায় বিরাট কোহলী।
২০১৭ – ডেভিড ওয়ার্নার (সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদ) – গেল বছর আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৬৪১ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হন ওয়ার্ণার। ৪টি অর্ধশতরান ও ১টি শতরান করেন তিনি।