কম্পিউটার চালিত রেশন ব্যবস্থার সময়সীমা বৃদ্ধি

দেশের সর্বস্তরের সব নাগরিকদের খাদ্যের সংস্থান নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই বিভিন্ন রকম উপায় বা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে এই ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করার জন্য। তার মধ্যে একটি হল রেশন ব্যবস্থা পুরোপুরি কম্পিউটার চালিত করা। এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা হল রেশন ব্যবস্থা পুরোপুরি কম্পিউটার চালিত করার সময়সীমা এক বছর আরও বাড়িয়ে ২০২০ সালের মার্চ অব্দি করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পটির মেয়াদ প্রথমে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। রাজ্য সরকারগুলির অনুরোধে তা ২০১৯-এর মার্চ মাস অব্দি সম্প্রসারিত করা হয়। কিন্তু কিছু কাজ এখনো বাকি, তাই লোকসভার ভোট ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাজ্যগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেয়

     রাজ্য খাদ্য দফতর অবশ্য ইলেক্ট্রনিক পয়েন্ট অফ সেলস(ইপিওএস) যন্ত্র রেশন দোকানে দ্রুত চালু করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল। রাজ্যের ২০ হাজার রেশন দোকানে ইপিওএস সরবরাহ করার বরাত দেওয়া হয় দুটি সংস্থাকে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। বেশ কিছু রেশন ডিলার তা পেয়েও গেছেন। তবুও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তরে ফলে রাজ্য সরকারের সুবিধাও হল। রেশন গ্রাহকদের তথ্য কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা, ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরী সহ সরবরাহ ব্যবস্থা কম্পিউটার পরিচালিত করার প্রক্রিয়া রাজ্যে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ইপিওএস যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন গ্রাহকদের কাছে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি এখনো শুরু করা যায়নি।

নতুন যন্ত্র শুরু হলে প্রথম দিকে তা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে রেশন সরবরাহ কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হতে পারে। ভোটের মুখে এরকম সমস্যা দেখা দিলে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে, ভোটের মুখে রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরী হলে মানুষ ক্ষুব্ধ হতে পারে- যা সরকারি কর্তারা চাইছেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া রেশনে ভর্তুকি বাবদ কেন্দ্রের কাছে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। এই বকেয়া থাকার পেছনে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র চালু না হওয়া অন্যতম কারন বলে মনে করা হচ্ছিল। এখন সময়সীমা আরো এক বছর বেড়ে যাওয়ায় বকেয়া টাকা পাওয়ার বাধা দূর হবে বলেই খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...