প্রতীক্ষা মাত্র আর এক মাস

কথায় আছে 'ঠেকে মানুষ শেখে'। গত বছর ২২ বছরের মেয়ে মৌমিতা মহাপাত্র তার দেড় বছরের শিশুকে রেখে মারা যায় ডায়ালিসিস মেশিনের অভাবে। এরপরে স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, পোর্টেবল নয় স্থায়ী ডায়ালিসিস  মেশিন বসানো হবে কলকাতার এনআরএস (নীলরত্ন) হাসপাতালে। তারপরে মেশিন কেনার টেন্ডারও সম্পূণর্ন করা হয়। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে এনআরএস এর নেফ্রোলজি বিভাগ ডায়ালিসিস মেশিন বসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল। এরপরে নানা অভ্যন্তরিন সমস্যার কারনে তা হয়ে ওঠেনি। পরে মৌমিতা মহাপাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে ওঠে সকলে। নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডঃ পিনাকী মুখোপাধ্যায় বলেন, কখনও কখনও কোনও দুঃখ জনক ঘটনাও অনেক ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। মেয়েটি হয়ত আর নেই আমাদের মাঝে,তবে এই ঘটনার পর আসা মেশিনটি হাজারও  সর্পাঘাতগ্রস্থ কে নতুন জীবন দেবে। জানাগিয়েছে, আর মাত্র এক মাসের মধ্যে এনআরএস এর ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বসে যাবে ৬ লক্ষ দামের এই ডায়ালিসিস মেশিন

       প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় দু বছর এখানকার নেফ্রোলজি বিভাগ ডায়ালিসিস মেশিন বাড়ানো এবং  সিসিইউ তে ডায়ালিসিস বসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল। একবার নেফ্রোলজি বিভাগ সিসিইউ এর জন্য ১৬ লক্ষ টাকা অনুমোদনও করেছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারনে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। সর্পাঘাতের চিকিৎসায় রাজ্যের রিসোর্স পার্সন ডঃ দয়ালবন্ধু মজুমদার বলেন, চন্দ্রবোড়ার কামড়ে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে না পারলে কিডনি অকেজো হয়ে চার-পাঁচদিনে রোগীর মৃত্যু হয়ে যেতে পারে। সেই সময় রোগীকে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ছোটাছুটি করা, কোনও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার লক্ষণ নয়। তাই সুষ্ঠূভাবে চিকিৎসার জন্য ডায়ালিসিস মেশিন খুবই জরুরি। আশা করে যায়, এখন এনআরএস-এর চিকিৎসা আরো উন্নতমানের হতে পারবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...