ভাবুন তো গাছ ভরে আছে নারকেলে আর আপনি হাত বাড়ালেই পাড়তে পারছেন! অবাক হচ্ছেন? ঘরের কাছে বসিরহাটের মাটিতেই ঘটেছে এমন তাজ্জব ঘটনা!
নারকেল গাছ বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশাল লম্বা আকাশ ছোঁয়া এক গাছ যার উপরের দিকে থাকে ফল। দীর্ঘ গাছ বেয়ে উঠে তবেই নামাতে হয় ফল। কসরত তার কম নয়। কিন্তু এই ধারণা একেবারে বদলে যাবে বসিরহাটে এলে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে হংকং নামে একটি উদ্যানে ফলছে এক ফুটের নারকেল গাছ। এই গাছ অন্যান্য প্রজাতির নারকেল গাছের থেকে অনেকটাই খাটো কিন্তু ফলন তুলনামূলকভাবে বেশি। এটি ভিয়েতনামি নারকেল হিসেবে পরিচিত।
পার্কের উদ্যোক্তা হাজি অমিনুর ইসলাম তার এই ৬০ বিঘা জমির মধ্যে কয়েক বিঘা জমিতে ভিয়েতনাম জাতের নারকেল গাছের চাষ করেন। তিনি ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশের মাধ্যমে এদেশে গাছ নিয়ে আসেন। কারণ ভিয়েতনাম প্রজাতির নারকেল গাছের বাংলাদেশে বহুল উৎপাদন দেখা যায়। হাজি অমিনুর ইসলাম নিজে গিয়ে সেখান থেকে বীজ-চারা সংগ্রহ করেন।
তিনি যেমন ডাব এবং নারকেলের ফলন করছেন, পাশাপাশি ভাবে তিনি নতুন চারা তৈরি করে বিক্রিও করছেন। ফলে, ফল ও চারা দুইভাবে বিক্রি করে লাভ হয়।
এই গাছের চারা রোপণের জন্য মাটিতে নারকেলের চারাগুলো এমনভাবে রোপণ করতে হবে, যাতে নারকেলের খোসা সমেত চারার গোড়ার অংশটি মাটির ওপরে থাকে। গাছের ফলন লবণাক্ত মাটিতে ভাল হলেও, সব প্রকার মাটিতেই চাষ সম্ভব। নিয়মিত জলের পাশাপাশি গোবর সার অথবা পচা আবর্জনা সার দিতে হবে। ২০-২২ মাসের মধ্যেই ফুল চলে আসে। তিন বছরের মাথায় ফল ধরে। নারকেল খেতে স্বাদে-গন্ধে, আকার ও পুষ্টিমানে অনেকটা দেশি নারকেলের মতই।
আপনি বাড়ির বাগানের শোভা বাড়াতে, অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর নারকেল পেতে এই গাছের চারা চাষ করতে পারেন। এই নারকেল গাছের চাষ করতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন হংকং উদ্যানের উদ্যোক্তা হাজি আমিনুর ইসলামের সঙ্গে।
আমিনুর ইসলাম বলেন, “এই জাতের গাছ অল্প জমিতে বেশি পরিমাণে চাষ করা সম্ভব এবং ফলন হয় বেশি। পাশাপাশি গাছের চারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে। এই জাতের নারকেল চাষ করে মাসে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।“