সামনেই দোল। সেই উপলক্ষ্যে এখন থেকেই শহরের নানা রাস্তায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন উৎসাহী মানুষজন। আবির খেলাও প্রায় শুরু হয়ে গেছে কলকাতার নানা প্রান্তে। বিশেষ করে অফিসকাছারি, স্কুলকলেজ প্রভৃতিতে ইতিমধ্যেই প্রি-হোলি সেলিব্রেশন শুরু হয়ে গেছে। সোমবার দোল ও হোলির দিনের নিরাপত্তা নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন পুলিশ কমিশনার অর্জুন শর্মা। প্রতিটি থানার আধিকারিক, ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বড় কর্তারা।
জানা গেছে, এই দুদিন কোনোপ্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীকে। এছাড়াও পণ্যবাহী গাড়িতে চেপে হুল্লোড় করতে দেখা গেলে ধরা হবে তাদেরও। লালবাজার সূত্রের খবর, আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার অর্থাৎ দোল এবং হোলির দিন রাস্তায় থাকা বেপরোয়া বাইকচালক এবং মত্ত অবস্থায় থাকা বাইকারোহীদের বিষয়ে অধিক নজর দেওয়া হবে। এর আগে দেখা গেছে, দোলের দিন বা হোলির দিন রাস্তায় অনেক পণ্যবাহী গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় হুল্লোড়ে মাতেন আরোহীরা। সেই গাড়ি থেকে অন্যের দিকে রং ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে। তাই এইবছর যাতে সেরকম ঘটনা না ঘটে তার দিকে নজর দেওয়ার কথা ভাবছেন পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ কমিশনার দিনের বৈঠকে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দোল ও হোলি এই দুইদিন বেশি সময় ধরে রাস্তায় থাকতে। তারা জানিয়েছেন, শহরের রাস্তায় এমনভাবে পুলিশবাহিনী নিযুক্ত করতে হবে যাতে শহরবাসী প্রয়োজন পড়াকালীনই পুলিশের সাহায্য পায়। তারা জানিয়েছেন, শহরের রাস্তায় পুলিশি টহলদারি চলতে থাকলে দুষ্কৃতীরাও অপরাধ করা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও দেখা যায়, প্রতিবছর দোল খেলার পর গঙ্গায় স্নান করায় অনেক দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সেই জন্য এই বছর বিশেষ করে গঙ্গার ঘাটগুলিতে অধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।