অলিম্পিক গেমসের শপথ

বিধানসভা, লোকসভায় শপথগ্রহণ হয় তা সবার জানা। নির্বাচনে জয়ী দল, সমস্ত বিধায়ক , সাংসদ শপথ নেন। পরে মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। কোর্ট রুমে কোনও বিচার হলে সাক্ষীকে পোডিয়ামে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। কিন্তু জানেন কি অলিম্পিক গেমসেরও শপথ বাক্য আছে। প্রত্যেক অলিম্পিক শুরুর আগে পাঠ করা হয় সেই শপথ বাক্য।


অলিম্পিক শপথ রচনা করেন আধুনিক অলিম্পিকের জনক পিয়ের ডি কুব্যার্তা। অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন দিনে একজন ক্রীড়াবিদ সমস্ত ক্রীড়াবিদের পক্ষ থেকে এই শপথ পাঠ করে থাকেন। শপথ বাক্যে বলা হয়, 'সমস্ত ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে আমি শপথ নিচ্ছি যে আমরা অলিম্পিক গেমসের সমস্ত নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব, খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব নিয়ে আমরা অলিম্পিকের সম্মান এবং মর্য্যাদা সমুন্নত রাখব।' ১৯২০ সালের অলিম্পিকে প্রথমবার পাঠ করা হয়েছিল এই শপথবাক্য। ভিক্টর বোইন প্রথম এই শপথ বাক্য পাঠ করেছিলেন।

খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দিতে প্রাচীন গ্রীসের অলিম্পিয়া থেকে শুরু হওয়া প্রাচীন অলিম্পিক গেমসের পরিবর্তন হয় ১৮৯৪ সালে। পিয়ের ডি কুব্যার্তা সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গঠন করেন। আজ আইওসি-ই অলিম্পিক গেমস সংক্রান্ত সমস্ত কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীতে অলিম্পিক গেমসে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অন্যতম শীতকালীন অলিম্পিক, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্যারালিম্পিক এবং কিশোর ক্রীড়াবিদদের জন্য যুব অলিম্পিক গেমস।


১৮৯৬ অলিম্পিককে বলা হয় প্রথম অলিম্পিয়াড গেমস। গ্রীসের রাজধানী এথেন্স শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বছর মাত্র ১০ দিনে শেষ হয়েছিল অলিম্পক। শুরু হয়েছিল ৬ এপ্রিল , শেষ হয় ১৫ এপ্রিলে। আসলে ওই বছর মাত্র ১৪টি দেশের ২৪১ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীই ছিল ইউরোপীয়। ১৮৯৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য সাতটি মাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল। মূল খেলার মাঠ ছিল পানাথেনাইক স্টেডিয়াম।


ওই বছর কোনও ইভেন্টে প্রথম হওয়া ব্যক্তিকে রুপার পদক দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় হওয়া প্রতিযোগিকে দেওয়া হয়েছিল তামার পদক। পরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি রৌপ্য পদককে স্বর্ণ পদকে রুপান্তর করে এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীর জন্য ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া চালু করে। ওই অলিম্পিকে গ্রীস সর্বোচ্চ ৪৬টি পদক জিতে সর্বাধিক পদক জয়ী হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...