সকল দেশবাসীর সেই স্বপ্ন পুরণ হল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। এবার পদ্মা নদী দেখতে দেখতে আপনি কলকাতা থেকে ঢাকা পৌঁছে যাবেন। পাশাপাশি খুব অল্পসময়তেই কলকাতা যাতায়াত করা সম্ভব হয়ে উঠবে।
৭ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি পদ্মা নদী পার হয়ে ছুটল ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা রেলস্টেশনে। মাত্র ৮ মিনিটেই পদ্মা নদী পেরোল ট্রেনটি।
আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পদ্মা নদী হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীদের জন্যে রেল চলাচল শুরু হবে। সেই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।
এদিন বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সকাল ১০টা ৭ মিনিটে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে মন্ত্রী, সাংসদ ও সাংবাদিকদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা নদীর উপর ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়। সেই ট্রেনে যাত্রা করলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, চিফ হুইপ লিটন চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী শাহজাহান খান, জলসম্মদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিম-সহ সাংসদ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তা-সহ সাংবাদিকেরাও। ট্রেনটি ঢাকা থেকে পদ্মা নদী হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল এবং পদ্মা নদী পেরোয় মাত্র ৮ মিনিটেই।
এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে এই বিষয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিয়েছেন পদ্মা নদী হয়ে রেলপথ উদ্বোধনের জন্যে। সেদিন ওই সময়ে একটি সুধী সমাবেশও অনুষ্ঠিত হবে।
যশোর পর্যন্ত এই রেল প্রকল্প পুরোপুরি উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ বিস্তৃত হয়েছে। তারই মধ্যে প্রথমে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে। তারপর এটি যশোর পর্যন্ত চালু হয়ে যাবে পুরোপুরি। তারপর যশোর-বেনাপোল হয়ে বনগাঁর পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে এই ট্রেনটি। সেই সময়েই জুড়ে যাবে কলকাতা-ঢাকা রেলপথ। এই ট্রেন সার্ভিসটি পুরোপুরি চালু হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
জানা গিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। প্রকল্প পুরোপুরি ভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী থাকলে ঢাকা হইতে পদ্মা নদী-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।