কলকাতা শহরের অলিগলি থেকে সোশাল মিডিয়ায়, সব জায়গায় এই নামটা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই নামটি হল ‘নন্দিনীর পাইস হোটেল’। ডালাহৌসির এই পাইস হোটেলে পড়ে প্রচুর লাইন। আজকাল সুদূর বাংলাদেশ থেকেও নন্দিনীর হাতের সেই অসাধারণ স্বাদ নিতে চলে আসছেন মানুষজন। সঙ্গে ইউটিউবার থেকে ফুড ব্লগাররা ওরা সবাই তো আছেই।
তবে তাকে টেক্কা দিতে চলে এল এক প্রতিযোগী। কলকাতা শহরে এল এক নতুন দিদি, এক নতুন পাইস হোটেল। জানা যাচ্ছে এরা নাকি মটন ভাত বিক্রি করছেন মাত্র ৮০ টাকায়। যেখানে নন্দিনীর হোটেলে মটন থালির দাম ২২০ টাকা। ভাবা যায়! এবার সবার নজর এখন সেই দিদির দিকেই।
এই পাইস হোটেলটি খুলেছে দুই বোন মিলে। ছোট বোনের দাবি, “লাভ-ক্ষতি জানি না। দিদি সবটা দেখে। দিদি বলেছে অত লাভ ক্ষতি ভাবতে হবে না। যা পারবি সেই দামেই লোককে খাওয়াবি।”
তারা নন্দিনীর ব্যাপারে শুন্তেই জানান, “কে নন্দিনী দি? আমরা তাঁকে চিনি না। তাঁকে বলুন এসে আমাদের আশি টাকার মাংস ভাত খেয়ে যায় যেন।”
খবর ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে নন্দিনী। দেখা যায়, মাঝে মাঝে দোকানে আসা ইউটিউবারকে গালমন্দ করে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, আবার মাঝে মাঝে হাত তুলছেন বাবার বয়সী লোকেদের গায়ে। নানান্রকমের নাটক এখন লেগেই থাকে এই হোটেলে।
এক ভিডিওতে একদিন নন্দিনী কেঁদেকেটে এক ইউটিউবারকে জানালেন, “দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস। আমাদের স্বভাবই হল, যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই।”
নন্দিনীর ভালো নাম হল মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আগে, বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে ভালো চাকরিও করতেন। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে গিয়ে জানা যায় যে করোনার সময়ে সব ছেড়ে কলকাতা চলে আসেন। তারপর বাবা-মার সঙ্গে এই দোকান চালানোর স্বপ্ন দেখে রি দোকানটি খলে। যদিও এই দোকানটি তাঁদের নিজের নয় ভাড়ার। নন্দিনীর স্বপ্ন যে এইখান যা টাকা আসবে সেটাকে জমিয়ে একটা নিজেদের রেস্তোরাঁ তৈরি করে তাঁর মা-বাবাকে উফার দেবেন।