হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন তারপরই আলোর রোশনায় ভরে যাবে শহর কলকাতা। তার কারণ আর কিছুদিনেই মধ্যেই শুরু হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দর্গোৎসব। আর তারই প্রস্ত্ততীতে ব্যস্ত আপামর বাঙালি। যুদ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে পূজা কমিটিগুলির শেষ মূহুর্তের কাজ। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিও-তে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ত্রিধারা ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি সন্দীপ বোস, থিম শিল্পী সম্রাট ভট্টাচার্যী ও সাধারণ সদস্য মধুলিনা ঘোষ। সঞ্চালক রীয়ার সাথে তাদের পুজোর ব্যাপারে জানলাম আমরাও। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাব দুর্গা পুজো শুরু করে ২০০১ সালে। এইবছর ১৯তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো। প্রথম ১৬ বছর সাবেকি পুজো করার পর বিগত ৩বছর হল তারা থিম পুজোয় প্রবেশ করেছেন। আর তাদের এইবছরের থিম কোনও সামাজিক বর্তা নিয়ে নয়, এইবছর তাদের থিম “দুর্ভাদ দুর্গা”, যা নিদৃষ্ট একজন মহিলা কে কেন্দ্র করে। কে এই মহিলা তা স্পষ্ট ভাবে না জানা গেলেও, অন্নুপূর্ণা রুপে দুর্গা মায়ের আরাধনা করা হবে তা জানান সদস্যরা।
তবে চিরাচরিত প্রথা মেনে মায়ের রুপে কোনও পরিবর্তন রাখছেন না প্রতিমা শিল্পী নবকুমার পাল। যেই সাবেকি প্রতিমা প্রথম বছর থেকে পূজিত হয়ে এসেছেন, তাই রাখা হয়েছে। প্রতিপদে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে তাদের পুজোর পথচলা। অষ্টমী পুজোয় প্রায় ৩৫০ টি ডালা পড়ে তাদের মন্ডপে। নবমীর দিন সকল দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে খিচুড়ি ভোগের আয়োজন। দশমীতে সিঁদুর খেলা আর বরণের পর বিদায় জানানো হবে পার্বতীকে। দরেশনার্থীদের সুরক্ষা ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সব রকম ব্যবস্থা থাকবে পূজা মন্ডপে। থাকবে পানীয় জল, মেডিকেল ক্যাম্প, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও সদ্যজাত শিশুদের কথা মাথায় রেখে থাকবে ‘বেবি কেয়ার ইউনিট’। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রো-তে উঠে নামতে হবে শ্যামবাজার, সেখান থেকে খান্না সিনেমা হলের নিকট এই পূজা মন্ডপ।