বাংলায় যেমন নদী রয়েছে, তেমনি রয়েছে রাঢ় অঞ্চল, রয়েছে সমুদ্র সৈকত, ডুয়ার্স এবং অবশ্যই পাহাড় ঘেরা অঞ্চল। কিছু অংশ যদি দক্ষিণবঙ্গের আওতায় থাকে তবে কিছু অংশ অবশ্যই উত্তরবঙ্গের আওতায় পড়ে। কিন্তু একথা প্রচলিত রয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ যেমন ট্যুরিজমের গুরুত্ব পায়, উত্তরবঙ্গ তেমন পায়না। তবে সাম্প্রতিককালে এই অবস্থার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গাকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই রকমই আর একটি ট্যুরিজম সার্কিট গড়ে তোলার ভাবনা ভেবেছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। নতুন ট্যুরিজম সার্কিটে শিলিগুড়ি শহরকে ঘিরে ফুলবাড়ী থেকে শালুগাড়ার মহানন্দা অভয়ারণ্যের চমকডাঙ্গি, বেঙ্গল সাফারি পার্কের পিছনে তুড়িবাড়ি পর্যন্ত এলাকা নিয়ে এই সার্কিট গঠিত হচ্ছে। বেঙ্গল সাফারি ও গজলডোবায় ভোরের আলো তৈরী হওয়ার পর বেশি করে পর্যটক আসছেন। এই অঞ্চলে রাত্রিবাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব কটেজ তৈরী করার পাশাপাশি বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন হবে। চমকডাঙ্গিতে ২০টি কটেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফুলবাড়ি মোড় থেকে গজলডোবা পর্যন্ত ক্যানেলের ধার দিয়েও কটেজ তৈরী করা হবে। পরিযায়ী পাখিরা আসায় ফুলবাড়ি ব্যারেজ, পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। তাছাড়াও এখানে বাটারফ্লাই পার্ক, স্নেক পার্ক ও ক্যানেলে বোটিং-এর ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে। গজলডোবা খুব কাছেই রয়েছে বোদাগঞ্জ। কথিত আছে এটি সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম। তাই এখানকার ভ্রামরীদেবীর মন্দিরে সারা বছরই পর্যটক থাকেন। কিন্তু এখানে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা ছিলনা। তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে আরও পর্যটক আসতে পারে।
এভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এই অঞ্চলের জায়গাগুলিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে দেবার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর।