ঘরের কাছেই কাশ্মীর, কিন্তু আমরা দূরে খুঁজতে যাই। ভাবছেন তো সে আবার কোথায়! কেন, বাংলার উত্তরে! মেঘ। কুয়াশা, বরফঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা, পাইন ফারের জঙ্গল, চা বাগান, খরস্রোতা নদী, অর্কিডের বন আর অচিন প্রকৃতি। ‘উত্তরবঙ্গ’- নামটা কানে এলেই যেন চনমনে হয়ে ওঠে বাঙালি, ‘উত্তরবঙ্গ সব পেয়েছি’র দেশ। দার্জিলিং, কার্শিয়াং-এর মতো চেনা জায়গাগুলো তো আছেই, আরও কত-কত যে আবিষ্কার হয়ে চলেছে, তার কোনও শেষ নেই। উত্তরবঙ্গের কিছু অজানা ‘ট্যুরিস্ট’ গাঁয়ের খোঁজ রইল এই নিবন্ধে।
১. রনগো ভ্যালি : শিলিগুড়ি থেকে ৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি। ভুটানের বহু পাহাড় দেখতে পাওয়া যায় ঐ এলাকা থেকে। এছাড়াও নিউ মাল জংশন থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এই পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনীয় স্থান হিসেবে রয়েছে একটি ওয়াটারফল ও পাহাড়ী গাঁ।
২. লেপচাকা : এখানে রয়েছে সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্সার জঙ্গল। এই জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় বাঘ। এছাড়াও ভুটানের বহু পাহাড় দেখতে পাওয়া যায় এই অঞ্চল থেকে। আলিপুরদুয়ার থেকে লেপচাকার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এছাড়াও শিলিগুড়ি থেকে সাঁওতাল বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৯০ কিলোমিটার। সাঁওতাল বাড়ি থেকে লেপচাকার দূরত্ব প্রায় ৫.৫ কিলোমিটার।
৩. ডালগোন : উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলের গ্ৰাম গুলিতে অনেক চা বাগান দেখা যায়। এছাড়াও বিন্দু, ঝালঙ্গ, শামসিং, গরুমারা, চাপরামারি মতো ঘোরার জায়গা রয়েছে এই অঞ্চলে। অন্যদিকে পাহাড়ের উপরের গ্ৰামগুলিও শোভা বাড়িয়েছে এই জায়গাটির। শিলিগুড়ি থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিলোমিটার।
৪. রেমাতাঙ্গ : ডুয়ার্সের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল রেমাতাঙ্গ। এই পর্যটন কেন্দ্রের খুব কাছেই বক্সার জঙ্গল অবস্থিত। পর্যটকদের জন্য এখানে ট্রেকিং, জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে শিলিগুড়ি থেকে রেমাতাঙ্গের দূরত্ব প্রায় ৭৪ কিলোমিটার।
৫. পারেণ : পশ্চিম ডুয়ার্সে অবস্থিত এই অঞ্চলটি থেকে ভুটান সীমান্তের দূরত্ব খুব কম। পাহাড়, জঙ্গল ও নদী দিয়ে ঘেরা এই অঞ্চলটি খুবই সুন্দর। এই পর্যটন কেন্দ্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হল রাচেলা পাস। শিলিগুড়ি থেকে পারেণের দূরত্ব প্রায় ১১২ কিলোমিটার।