২০১৯ এর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন ইথিয়োপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। প্রতিবেশি দেশ ইরিত্রিকার সঙ্গে শত্রু সম্পর্ক ছিল। গতছর দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তার জেরে বিগত দুই দশক ধরে চলে আসা সীমান্ত সংঘাতের অবসান ঘটে। যুদ্ধ এড়িয়ে মৈত্রী স্থাপনে বড় ভূমিকা ছিল প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলীর।আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচেষ্টায় প্রতিবেশি শান্তি বজায় স্থাপ্ন এই কারনে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচ সদস্যর নোবেল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ব্রেইট রেইস অ্যানড্রেসেন।
২০১৯ সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন অস্ট্রিয়ান সাহিত্যিক পিটার হান্ডকে। যুগোশ্লোভাকিয়া যুদ্ধে সার্বীয়দের সমর্থন করে তাঁর লেখা সারা পৃথিবীতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। বিতর্ক তাঁর চিরসঙ্গী, নোবেল প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
একই সঙ্গে ২০১৮-র নোবেল পুরস্কারের নাম এবার ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নোবেল পেয়েছেন পোল্যান্ডের লেখক ওলগা তোকার্তুক। যৌন হয়রানি, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত রাখা হয়েছিল।
রসায়ন বিভাগে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন বি গুডএনাফ, ব্রিটেনের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম স্ট্যানলি উইটিংহম ও জাপানের মেইজো বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিরা ইওশিনো।
লিথিয়াময়ন ব্যাটারি নিয়ে কাজ করার জন্য তাঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির কারণেই বহনযোগ্য ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবহার সহজ হচ্ছে। মোবাইল ফোন, পেসমেকার, ইলেকট্রিক কারের ব্যবহারের পথ তৈরি করেছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি।
৯৭ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পেয়ে নতুন রেকর্ড করেছেন গুডএনাফ।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী হিসেবে জেমস পেবলস, মিচেল মেয়র ও ডিডিয়ের কুইলজের নাম ঘোষণা করা হয়।
মহাবিশ্বের বিবর্তনবিষয়ক গবেষণা ও একটি নতুন গ্রহ আবিষ্কারের কৃতিত্বের জন্য ওই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গ্রহটি ১৯৯৫ সালে আবিষ্কার করা হয়, যা সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।
প্রসঙ্গত, স্যর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিনে (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের ওসলোতে ন মিলিয়ন সুইডিশ ডলার মূল্যের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৮৯৫ সালে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর সুইডিশ রসায়নবিদ আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
পুরস্কার ঘোষণার আগেই মারা যান আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সামগ্রিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ভার দেওয়া হয়।বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়।