তীব্র গরমে নাজেহাল সকলে। স্কুল,কলেজ,অফিসকাছারী যাওয়া মানুষগুলোর অবস্থা কাহিল। আগে সকলে বলতেন দুপুর ১২ টা বাজলে সূর্য মাথার ঠিক ওপরে অবস্থান করে তাই ওই সময় সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়। তাই এই সময় বাইরে না বেরোনোই ভালো। কিন্তু এইসব কথা এখন প্রবাদ বাক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন কি সকাল আর কি দুপুর। সবসময়েই সূর্যের তাপ অধিক ভাবে মালুম হচ্ছে। এই সময় মানুষ যথাসম্ভব কম বেরোনোর চেষ্টা করছেন। বেরোলেও ছাতা আর জল সঙ্গে নিতেই হচ্ছে। প্রচন্ড এই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশুপাখিদেরও। শহরের সকলেই এখন আছেন বৃষ্টি কবে নামবে তার অপেক্ষায়।
জুনের আগে শহরে বর্ষা ঢুকবে না এমনটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই আপাতত বর্ষার আশা না করাই ভালো। কিন্তু সম্প্রতি কি কোনো নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় আসবে না? কি বলছেন আবহাওয়া দফতর? হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, বর্ষা তো দূর অস্ত। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সামান্য বৃষ্টিপাতের আশাও নেই। এই তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কলকাতাসহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদীয়া প্রভৃতি এলাকায় তাপপ্রবাহ না হলেও গরমে অস্বস্তি বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত যদি কোন সাইক্লোন না আসে তাহলে বৃষ্টির সম্ভাবনা একদমই থাকছে না, জানালেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এই সময়ে আরবসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরী হয়েছে, যা ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। কিন্তু সেই নিম্নচাপ আদৌ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কিনা বা নিলেও কোন দিক দিয়ে সেই ঝড় বয়ে যাবে তা এখনই স্পষ্ট করে জানানো যাচ্ছে না। এই ক'দিন কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। এর সাথে অস্বস্তিসূচক গরম থাকবে যথেষ্টই বেশি। তবে এই সবকিছুর মধ্যে একটাই খুশির খবর দিলো হাওয়া অফিস তা হল, ইতিমধ্যে মনিপুর ও মিজোরামে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। তাই আর কয়েকদিনের অপেক্ষা তার পরেই মুক্তি এই অসহ্য় গরম থেকে। সেই আশাতেই এখন দিন গুনছে শহরবাসী।