কোনও প্রতিষ্ঠান ব্যবসা বন্ধ করুক তা সরকার চায়না: সীতারামণ

 

সম্প্রতি দেশের মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ভোডাফোন এবং এয়ারটেলের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই দুই সংস্থা। এমনকি, ভোডাফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভারত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে| শুধুমাত্র বাইরেই ব্যবসা করবে| উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট, ভোডাফোন আইডিয়া এবং এয়ারটেলকে ৭৪,০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে| তাতেই সমস্যায় পড়েছে এই দুই সংস্থা|  মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে এই দুই সংস্থার একসময় একচেটিয়া ব্যবসা ছিল ভারতে। কিন্তু তাদেরই এই রকম সংকটের সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তিনি শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, কোনও প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিক, তা ভারত চায় না। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানই যেন উন্নতি করে, তাই কাম্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর।

                                  ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ বাবদ 'অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ'(এজিআর)-এর জন্য ২৮,৩০৯ কোটি বকেয়া টাকা দ্রুত মেটানোর কথা জানিয়েছে। এর ফলেই যথেষ্ট বিপাকে পড়েছে ভোডাফোন আইডিয়া বলে খবর। রায় মোতাবেক তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রায় ৩৯,০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে ফেলতে হবে। ফলে চলতি বছরে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য রাইটস ইস্যুর মাধ্যমে ভোডাফোন আইডিয়া যে ২৫,০০০ কোটি টাকা তুলেছিল, তার প্রায় গোটাটাই চলে যাবে সরকারের দেনা মেটাতে। দেশের বৃহত্তম মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ভোডাফোনকে এর ফলে ৩৪,২৬০ কোটি টাকা প্রভিশন রাখতে হয়েছে। অপরদিকে এয়ারটেল জানিয়েছে, তাদের আয় গত আর্থিক বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়ে প্রায় ২১,১৫০ কোটি টাকা হয়েছে। গত আর্থিক বছরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তারা ১১৮.৮ কোটি টাকা নিতে মুনাফা করেছিল।

              দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা সম্পর্কে রিলায়েন্স জিও জানিয়েছে, এয়ারটেলের পক্ষে ৪০ হাজার কোটি টাকা তোলা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। ভোডাফোন-ও যে টাকা প্রাপ্য, তা দিতে পারবে। রিলায়েন্স জিও-র রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাখার প্রেসিডেন্ট কাপুর সিং জুলিয়ান জানান, যদি এয়ারটেল তাদের সম্পদের কিছুমাত্র অংশও বিক্রি করে দেয়, অথবা তার ইন্ডাস টাওয়ার ব্যবসার ১৫-২০ শতাংশ নতুন ইক্যুইটি বাজারে ছাড়ে, তাহলে সহজেই ৪০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিতে পারবে।

              অর্থমন্ত্রী জানান, টেলিকম ক্ষেত্রে যে বিপুল চাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সেখান থেকে কিছু একটা উপায় বেরোবে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...