ছোট কিংবা বড় পর্দায় সাহিত্যচর্চা নতুন কথা নয়। ঘুরে ফিরে বছরে একটা অন্তত সাহিত্যধর্মী ছবি আসেই। ধারাবাহিকের কথা তো বলাই বাহুল্য। আর এবার আরও একবার বড় পর্দায় আসছে শরৎচন্দ্রের ‘দত্তা’। পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী। পরিচালকের এটি ডেবিউ ফিল্ম। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এর আগে ১৯৭৬ সালে পরিচালক অজয় কর বানিয়েছিলেন ‘দত্তা’। সেখানে বিজয়ার চরিত্রে ছিলেন সুচিত্রা সেন। তা ছাড়াও ছিলেন শমিত ভঞ্জ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। আর এবার সেখানে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত’কে। নরেনের চরিত্রে থাকছেন জয় সেনগুপ্ত এবং বিলাসের চরিত্রে ফিরদৌস। রাসবিহারীর চরিত্রে দেখা যাবে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘দত্তা’তে বিজয়ার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে বেশ আপ্লুত ঋতুপর্ণা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফেসবুক পেজে এ কথা লিখেছেন তিনি। পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচয়। তাই তাঁর প্রথম ছবিতে কাজ করার সুযোগটিকে দ্বিগুণ পাওনা মনে করছেন তিনি।
ঋতুপর্ণা অভিনীত ‘বসু পরিবার’ রিলিজ করছে আজ। দীর্ঘ অনেকদিন পর অপর্ণা সেনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ‘পারমিতার একদিন’ ছবিতে শাশুড়ি-বউমার চরিত্রে দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছিলেন এই দুই সেন প্রতিনিধি। ‘বসু পরিবার’ কিংবা ‘পারমিতার একদিন’-এর গল্পের জায়গায় দাঁড়িয়ে ‘দত্তা’ পুরোটাই অন্যরকম। তার উপরে ওই একই চরিত্র করে গিয়েছেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। সুতরাং সামনে এবার তাই অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ ঋতুপর্ণার। তবে, তিনি চ্যালেঞ্জ নিতে জানেন। চ্যালেঞ্জে হেরে যেতেও রাজি নন তিনি। সুতরাং এই চ্যালেঞ্জেও বাজিমাত করবেন তা বলাই বাহুল্য। তবে, কোনওকিছুকে ‘কারো মতো’ না করে ‘নিজের মতো’ করতেই বেশি অভ্যস্ত তিনি। বাকিটা সময় জানাবে।