বন্ধুরা যখন মোবাইলে মুখ ডুবিয়ে গেমস বা ভিডিয়ো দেখতে ব্যস্ত, তখন আরুষ ভালোবাসে আকাশ দেখতে। তার চোখ থাকে টেলিস্কোপে। রাতের আকাশে তারার খোঁজে তাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়। মোবাইল গেমসের থেকে সেই আনন্দ ঢের বেশি। অন্ধকার আকাশে বিন্দু বিন্দু আলোর খোঁজ তাকে প্রতিদিন মুগ্ধ করে। সে ভালোবাসে তারা চিনতে। নেহাত খেলার ছলে নয়, রীতিমতো দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটি করে থাকে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র, ৯ বছরের পড়ুয়া আরুষ নস্কর। এই মুহূর্তে ভারতের কনিষ্ঠতম 'সিটিজেন সায়েন্টিস্ট'।
মহাকাশে ৫ টি গ্রহাণুকে চিহ্নিত করেছে সে। সেই সূত্রেই সম্প্রতি নাসা এই সম্মানে সম্মানিত করেছে আরুষকে।
বাবা অনুপম নস্কর কলকাতা অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। বাবার কাছেই তার মহাকাশ চেনার শুরু। সেই আগ্রহেই সার সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্টেরয়েড সার্চ কোলাবোরেশন (International Astronomical Search Collaboration (IASC)-এর সিটিজেন সায়েন্টিস্ট দলের সদস্য হয়ে ওঠে সে। নাসার সহযোগী সংস্থার একটি প্রাথমিক টেস্টও পাষ করতে হয় তাকে। তার পরই সে হয়ে ওঠে সিটিজেন সায়েন্টিস্ট দলের সঙ্গী।
অনুপম নস্কর ও তাঁর দলের সদস্যরা মোট ১১টি নতুন গ্রহের সন্ধান করেছে। তার মধ্যে পাঁচটি গ্রহাণুর আবিষ্কার করেছে আরুষ। শুধু দেশের নয় গোটা বিশ্বের মধ্যেই খুদে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একজন সে।
তার যখন বছর পাঁচেক বয়স তখন সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ দেখে মহাকাশ সম্পর্কে আগ্রহ জন্মায়। সেই খিদে থেকে কম্পিউটারে নাসার মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ শুরু করে সে। খুদেদের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ তৈরী করতে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট আছে। সেই সূত্রেই বাবার টিমে সিটিজেন্স সায়েন্স প্রজেক্টে যুক্ত হয়।