জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল নিমতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালক ইকেবানার সাথে পুজোর আড্ডা @ জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে এসে ক্লাব সম্পর্কে নানাকথা ভাগ করে নিলেন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্রী গৌরাঙ্গ দাস, ক্লাবের সম্পাদক শ্রী গৌড় সরকার এবং এই বছরের থিম শিল্পী শ্রী বাপি দাস। তারা জানালেন এই বছর তাদের পুজো পদার্পন করলো ৫৪ তম বছরে।
আগে সাবেকি পুজো করলেও ১৯৯৯ সাল থেকে থিম পুজো শুরু করে এই ক্লাব। এই ক্লাবের এই বছরের থিম 'শালবনী'। মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী সম্প্রদায় গন্দ-দের শিল্পকলা তুলে ধরা হচ্ছে। গন্ডের কাজই দেখা যাবে সারা মণ্ডপে। এমনকি মাতৃপ্রতিমায় পর্যন্ত থাকছে এই শিল্পকলার ছোঁয়া। ২রা অক্টোবর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হতে চলেছে এই মণ্ডপের। পুজো ছাড়াও রক্তদান শিবির, বইখাতা বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ প্রভৃতি সামাজিক কাজ করেন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
এছাড়াও ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লাবের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি রয়েছে। পুজোর সময় পুজোর যাবতীয় আচরাচরণ সম্পন্ন করেন পাড়ার মহিলারা। নবমীতে মায়ের জন্য যে সাবেকি খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয় তা বিতরণের দায়িত্বও থাকে মহিলাদের কাঁধে। র্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ক্লাবের ছাদেই তৈরী করা হয় ওয়াটার পার্ক। আপৎকালীন অবস্থায় যাতে জলের জন্য চিন্তা না করতে হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত, জানালেন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। আদিবাসীদের শিল্পকলা দিয়ে কিভাবে সেজে উঠতে চলেছে এই মণ্ডপ দেখতে হলে পৌঁছে যেতে হবে এই পূজা প্রাঙ্গনটিতে। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে গিরীশ পার্ক মেট্রো, সেখান থেকে মিনি-বাস বা অটো ধরে বিডন স্ট্রিট, তারপর আরও একটা অটো ধরে জোড়া বাগান থানার নিকটে এই পূজা মন্ডপ।