প্রথমবার কোনো 'ভার্চুয়াল পারসন' বসলো পুলিশের পদে

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণে যেমন উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি সেরকমই উন্নত হচ্ছে মানুষও| আজকাল ক্যনসার নির্ণয় থেকে শুরু করে ভুয়ো খবরের শনাক্তকরণ, সবটাই হচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাত ধরে| সম্প্রতি এই প্রযুক্তি অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগানোর জন্য বের করা হয়েছে অন্য একটি উপায়| নিউজিল্যান্ড পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত এক যন্ত্রমানবীকে দেওয়া হচ্ছে পুলিশের পদ|

জানা গেছে, প্রকৃতপক্ষে এই যন্ত্রমানবী হল একটি ভার্চুয়াল মুখ| নিউজিল্যান্ড পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো মানুষের আদলে তৈরী রোবট নয়| উদাহরণস্বরূপ অ্যালেক্সা ও সিরির নাম নিয়েছেন তারা| অ্যালেক্সা ও সিরির ক্ষেত্রে আমরা যেমন শুধু তার গলার স্বর শুনতে পাই এইক্ষেত্রে পুলিশের কাজে সাহায্যকারী সেই মহিলার মুখও দেখা যাবে|

যন্ত্রমানবীর নামকরণ করা হয়েছে এলা| নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশের ভাষায়, প্রকৃতপক্ষে এলা হলো এমন একজন ‘ডিজিট্যাল পারসন’ যাকে তৈরী করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করে| রিয়াল টাইম অ্যানিমেশনের সাহায্যে নড়াচড়া করা বা মুখভঙ্গির পরিবর্তন করতে দেখা যাবে এলাকে| জানা গেছে, এলা কাজ শুরু করতে চলেছে ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে| তাকে রাখা থাকবে উইলিংটনের নিউজিল্যান্ড পুলিশ ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারে| সেখানেই সে প্রহরীদের অ্যাসিস্ট করার কাজে বহাল থাকবে| জানা গেছে, তার কাজ মূলত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো এবং অতিথি পুলিশ স্টেশনে এসে পৌঁছালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেই খবর দেওয়া|

এলাকে কাজে বহাল করার ফলে সেখান থেকে বহিস্কৃত করা হচ্ছে না অন্য কোনো কর্মীকে| বরং তারা সকলে একসাথেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শহরের নিরাপত্তা রক্ষার দিকটিতেও খেয়াল রাখবে| পুলিশ কমিশনার বুশ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এলার মধ্যে এই কাজের জন্য যতটা শক্তি দরকার ছিল তার সম্পূর্ণটাই রয়েছে| তা সত্ত্বেও ভবিষ্যতে তার মধ্যে আরও জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর ইচ্ছে রয়েছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ প্রশাসনের|       

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...