রাজ্যের উন্নয়নের রাজ্য সরকার বদ্ধ পরিকর। রাজ্যের উন্নয়নের একাধিক পরিষেবার শুভ সূচনা করে চলেছেন রাজ্য সরকার। পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী গত সোমবার একাধিক নতুন যান ব্যবস্থা, এসি ট্রাম এবং সরকারি বাসে মোবাইল টিকেটিং ব্যবস্থা পরিষেবার উদ্বোধন করেন। সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর লক্ষ্যণীয় উদ্যোগের কথা জানিয়ে শুভেন্দু বলেন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার ক্রমেই উন্নতি ঘটে চলেছে। এই দিন পরিবহন মন্ত্রী ধর্মতলায় আরো একটি সভায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একবগির দু’টি এসি ট্রামের শুভ সূচনা করেন। সমকালীন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের এসি বাস যাত্রীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। এসি ট্রাম চালু হলে এটি একই ভাবে যাত্রীদের মাঝে সাড়া ফেলবে বলে মনে করেন দপ্তরের কর্মকর্তারা।তবে জাতীয় সড়কের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলায় এ সমস্ত সড়কে যেমন যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে সাথে বাড়ছে জ্বালানি খরচ।
সোমবার পরিবহন মন্ত্রী একরাশ আধুনিক মান সম্পন্ন জলযান-এর সূচনা করেন যার ভিতর ১০০ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম ৩টি জলযান, ৮০ জন যাত্রী পারাপারকারী ৩৬টি জলযান এবং ৪টি জলযান যেগুলো ৬০ জন করে যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এ ছাড়াও আরো ৪টি জলযান -এর উদ্বোধন করেন পরিবহন মন্ত্রী, এর প্রতিটি ২০০ জন করে যাত্রী পারাপারে সক্ষম হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ৪টি জলযানের নাম নির্ধারণ করেছেন নিজেই, এম ভি মাটি, এম ভি স্বাস্থ্যসাথী, এম ভি ইচ্ছাশক্তি, এবং এম ভি ইছামতি।
পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সড়ক ব্যবস্থার পাশাপাশি জল পথকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। রাজ্য সরকার পরিকাঠামো অনুযায়ী যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে চলেছে বলে জানান শুভেন্দু। আগামী দিনে বিশ্বব্যঙ্কের সহায়তায় আরো নতুন জলযান তৈরী করার কথা জানান তিনি। ফেরি পথে দুর্ঘটনা এড়াতে সুরক্ষা বিধি মেনে চলার আর্জি করেন তিনি। শ্রীরামপুরের সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, সেখানকার জলপথে একজন যাত্রীকে প্রাণে বাঁচাতে দুজন জলসাথী ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার। একইদিনে সরকারি বাসগুলোতে মোবাইল টিকেটিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অত্যাধুনিক ব্যবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা তৈরী করার জন্য স্মার্ট সুবিধা দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই পরিষেবায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে নিগমের আরো কিছু রুটে স্মার্ট ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রাথমিক ভাবে সাতটি মেইন রুটে এই ব্যাবস্থার সূচনা করা হল। যাত্রীরা যে সাতটি রুটে বাসের মোবাইল টিকেটিং সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন তার তালিকাও জানিয়ে দেয় পরিবহন দপ্তর। সাতটি রুট বাসগুলি যথাক্রমে - ভি-১, ভি-৯, এসি-১, এসি-৪৩, এসি-৩৯, এসি-৪বি এবং এসি-৩৭এ। এসব বাসের টিকেটিং সার্ভিস যে অ্যাপের মাধ্যমে এক্সেস করা যাবে তার নাম ‘চলো’। এ ছাড়াও ‘পথদিশা’ অ্যাপেও টিকিট সংগ্রহের লিংক পাওয়া যাবে আগামীদিনে বলে জানা যায়। বেসরকারি বাসগুলোর টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে ‘চলো’ অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে বলে বাস মালিক সংগঠনগুলি আর্জি জানিয়েছেন। যদিও এখনই অ্যাপের মাধ্যমে বেসরকারি বাসগুলোর গতিবিধি লক্ষ্য করা সম্ভব হচ্ছে বলে দেখা যায়।