আগামী দশক অর্থাৎ ২০৩০ থেকেই নিজের ক্ষেপনাস্ত্র ভান্ডার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা ও নৌ সেনা | আর সেই লক্ষ্যেই পৃথিবীর সবথেকে হালকা ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির পথে এগিয়ে চলেছে তারা | চিতার মত ক্ষিপ্র গতি, অর্জুনের মত নির্ভুল নিশানা, নিজের ওজন হালকা অথচ ৯ টন পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র টানতে সক্ষম | ডবল ইঞ্জিন, মাল্টিরোল সুপার সনিক কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট। রাফালকে টেক্কা দেওয়ার মত ক্ষমতা রয়েছে এর | যুদ্ধবিমান তেজসের এই নতুন প্রজন্মের নকশা তৈরী করে ফেলেছে অ্যারোনটিক্যাল ডিজাইন এজেন্সি (ADA) এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। শব্দের থেকে দ্রুতগামী পৃথিবীর সব থেকে হালকা যুদ্ধবিমান তেজস। এটি ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো যুদ্ধবিমান| সেই তেজসের উন্নততর ভার্সান তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বায়ুসেনা | এখন শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের অপেক্ষা | সেই ছাড়পত্র হাতে পেয়ে গেলে এই যুদ্ধবিমান তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর |
প্রতিরক্ষা দফতর সুত্রে খবর, ‘টুইন ডেক বেসড ফাইটার জেট ও বায়ুসেনার ‘এয়ার ফোর্স ওমনি রোল ফাইটার’ জেটের চূড়ান্ত নকশা তৈরী হয়ে গেলে আর হয়তো প্রয়োজন পড়বে না রাফালের | কারণ ফ্রান্সের সঙ্গে রাফালের চুক্তির ফলে ৩৯ বিমান কিনতে যা খরচ হওয়ার কথা তার চেয়েও কম খরচে বানানো যাবে তেজসের উন্নততর সংস্করণ | বর্তমানে যে তেজস ব্যবহার করে বায়ুসেনা তার বৈশিষ্ট্য হলো শত্রুপক্ষের নজরদারির বাইরে চলে গিয়েও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে পারে তেজস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্ষিপ্র গতির তেজসকে টার্গেট করা যেমন অসম্ভব, তেমনি আকাশে একে ধাওয়া করে যাওয়া বেশ কঠিন। তেজসের ককপিটে থাকা পাইলট সহজেই শত্রুপক্ষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন নিমেষের মধ্যেই | নতুন যে তেজস তৈরী হবে আকাশে তার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় দু’হাজার কিলোমিটার | ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৭৫০ এয়ারক্রাফ্ট বাতিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার বলে খবর | মিগ থেকে শুরু করে সুখই পর্যন্ত বাতিলের তালিকায় চলে যাবে | তার জায়গা নেবে রাফেল ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী তেজসের এই দুই উন্নত সংস্করণ |