বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্ত করতে এবং অকারণ প্যাসেঞ্জারের ভিড় কমানোর জন্য কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করতে চলেছে এক নতুন প্রযুক্তি, যার নাম অটোমেটেড ট্রে রিট্রিভাল সিস্টেম সংক্ষেপে এটিআরএস| এই প্রযুক্তির সাহায্যে প্রয়োজনের সময় ভিড় কমবে বলেই আশা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের| বিশেষ করে উত্সবের সময়গুলিতে অতিরিক্ত ভিড়কে সামাল দেওয়ার জনই নেওয়া হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত|
এটিআরএস যন্ত্র হলো এমন একধরনের মেশিন যেখানে রোলারজাতীয় ট্রে থাকছে, যার উপরে লাগেজ রাখলে তা নিজেই স্ক্যানিং হতে আবার যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সেখানে প্যাসেঞ্জারের হাতে ফিরে আসবে| এরফলে সিকিউরিটি চেকের সময় অপেক্ষার সময় কমবে, ম্যানুয়াল ইন্টারভেনশন কমবে, সন্দেহজনক জিনিস নিজে থেকেই আলাদা হয়ে যাবে| এরফলে সিকিউরিটি চেক জোনে প্যাসেঞ্জারের ভিড় কম হবে|
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দুটি এটিআরএস যন্ত্র বসিয়েছে| এরপরে ডোমেস্টিক টার্মিনালের সিকিউরিটি চেক এলাকাতে আরও ১০টি এই মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ| জানা গেছে, এই যন্ত্র বসলে প্রতি ঘন্টায় ৩২০ থেকে ৩৫০ জন প্যাসেঞ্জার সিকিউরিটি জোন পাশ করতে পারবে| জানা গেছে, চীন থেকে ইতিমধ্যেই দুটি মেশিন আনা হয়েছে| পরীক্ষায় সফল হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই যন্ত্রগুলি চালু করে দেওয়া হবে| প্যাসেঞ্জাররা এই নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নিতে পারলেই সবকটি সিকিউরিটি জোনেই বসিয়ে দেওয়া হবে এই মেশিন|
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার কথায়, আগে যে নিয়ম চালু ছিল তাতে প্যাসেঞ্জারদের নিজেদের কেবিন ব্যাগেজ এবং ট্রে-কে একধরনের মেশিন রোলারের মধ্যে রেখে দিতে হত| এই যন্ত্রের মধ্যে দুইদিকেই লাগানো ছিল এক্স-রে মেশিন| এর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাগে কোনো সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়লে তা অন্য একটি ট্র্যাক দিয়ে চলে যেত অন্য দিকে| আর এখন এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে ট্রে জিনিস নিয়ে স্ক্যান করে আবার নিজেই ফিরে আসবে প্যাসেঞ্জারের কাছে| এর ফলে সময়ের অপচয় অনেক কম হবে|