হিডকোর হাত ধরে শহরে আসতে চলেছে ‘ট্রি লাইব্রেরী’, যেখানে প্রদর্শিত করা হবে বাংলার স্বজাত বৃক্ষগুলির সমগ্র প্রজাতি। এর ফলে শহরের মানুষেরা সহজেই লাইব্রেরীতে প্রবেশ করে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন বাংলার বিবিধ প্রজাতির গাছ। পাশাপাশি গাছগুলি সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনাও থাকবে দর্শকদের জন্য। গাছগুলির ল্যাটিন নাম সহ তাদের বৈশিষ্ট ও গুণাবলী সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য রাখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ‘গ্রীন প্রোগ্রাম’ সংক্রান্ত কর্মসূচীর সূত্রে বুধবার নিউটাউনে একটি র্যালির মাধ্যমে লাইব্রেরীটি উদ্বোধন করবেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রক পরিষদ ও বনবিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরীটির শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি চালাচ্ছে হিডকো। লাইব্রেরিটি স্থাপনের জন্য কোলকাতা গেটের দক্ষিণে ৩ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
বোটানিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বাংলায় ৩,৫৮০টি প্রজাতির গাছ রয়েছে, এবং এই সমস্ত প্রজাতির গাছ প্রদর্শিত করা হবে নিউটাইনের ট্রি মিউজিয়ামে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
“বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই যে এখানকার স্বজাত গাছগুলি কেমন দেখতে হয়, ব্যতিক্রম বট, নিম। অন্যান্য গাছগুলি কেমন দেখতে হয় সে সম্বন্ধে অধিকাংশ মানুষই বিভ্রান্ত। বাংলার স্বজাত বৃক্ষগুলি সম্বন্ধে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই পরিষ্কার ধারণা আছে,” বলছেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেন।
তিন একর জমি ছাড়াও ‘ট্রি লাইব্রেরী’র একটি অংশ রাখা হবে লাইব্রেরি নিকটবর্তী ‘স্মৃতি ভ্যান’ পার্কে, যেখানে শহরের বিভিন্ন সেলেব্রিটিরা বৃক্ষরোপণ করতে পারবেন।
নিউটাউনে ‘স্নেহাদিত্য’ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম চালায় হিডকো। বুধবার, মিউজিয়ামে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা চারাগাছ লাগিয়ে প্রক্রিয়াটির সূচনা করবেন। প্রতিটি চারাগাছ তাদের রোপণকারীর নাম বহন করবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, “বনবিভাগের পক্ষ থেকে কিছু দূষণ দমনকারী গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরণের গাছগুলিকে আমরা পৃথকভাবে রোপণ করবো, যাতে পরবর্তীকালে নিউটাউনের অন্যান্য রাস্তাগুলিতেও গাছগুলি রোপণ করা যায়। এছাড়াও আগামী দিনে লাইব্রেরীর একটি অংশে রবার বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।“
স্বজাত গাছগুলি সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই জ্ঞানের পরিসর অত্যন্ত সীমিত। শহরের বুকে এ ধরণের ‘ট্রি লাইব্রেরি’ তৈরি হলে অনেক মানুষের কাছেই গাছগুলি চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ থাকবে। সুতরাং নিঃসন্দেহে হিডকোর এই কর্মসূচি সাধুবাদ দাবি করে।