কিউআর কোডেই খুলবে সিমসিম

 

শহরে এ বছর দুর্গাপুজোর মধ্যেই চালু হয়ে যেতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। বেশ কিছুদিন আগেই এই রুটে ট্রায়াল রান করানো হয়েছে মেট্রো রেকের। ভাড়ার কাঠামোও ঘোষণা হয়ে গেছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানোর জন্য কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি'(সিআর এস) অনুমোদন দরকার বলে জানান, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড-এর এক কর্তা। সেই অনুমোদনের জন্য মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে জুন মাসে আবেদন করা হবে। যেভাবে এখন কাজ চলছে, তাতে জুলাই মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানো যেতেই পারে বলে মনে করেন ওই কর্তা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই রুটের রেকগুলি যাত্রী পরিবহনের উপযোগী বলে ছাড়পত্র দিয়েছে 'কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি'। পরিষেবা শুরুর আগে অবশ্যই এটা একটা বড় ধাপ। আপাতত ইন্ডিপেন্ডেন্ট সেফটি অথরিটির নির্দেশ মত সিগন্যালিং ব্যবস্থা পরীক্ষার কাজ চলছে। বাকি পরিকাঠামো এবং কর্মীদের প্রশিক্ষনপর্ব চলছে জোরকদমে। প্রতিদিন চারটি ট্রেনকে চালানো হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে। 'কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি' মোট এক হাজার ঘন্টা ট্রেনগুলিকে চালাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ হতে আর কিছুদিন বাকি। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথে দ্বিতীয় পর্যায়ে সল্টলেক থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে চলতি বছরের মধ্যেই। তার জন্য শীঘ্রই ট্রায়াল রান শুরু হবে। সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগানের দিকে লাইন মাটির নিচে চলে গেছে। শিয়ালদহ-র মাঝে থাকা ক্রসওভার পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।

     এছাড়াও এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তে আর একটি নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। চলতি মেট্রোর পুরোনো টিকিট ব্যবস্থার সঙ্গে এবারে থাকছে আপভিত্তিক মোবাইল টিকেটিং সিস্টেম। পুরোনো টিকিট ব্যবস্থা সঠিকভাবে কার্যকরী করার জন্য সেখানে পরিষেবা দেবে বর্তমান মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বর্তমান মেট্রো রেলে আপভিত্তিক পরিষেবা যদিও চালু নেই, সেখানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে শুরু হতে চলেছে নতুন এই পদ্ধতি। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে প্রথম পর্যায়ে ট্রেন চলবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত। পরিষেবা সূচনার পর যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য টোকেন, স্মার্ট কার্ড-এর পাশাপাশি থাকবে মোবাইল টিকেটিং সিস্টেম। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব সহ একাধিক জোনে চালু রয়েছে। এই ব্যবস্থায় টিকিট কাটার জন্য একটি আপ ডাউনলোড করতে হবে। আপে টিকিটের দাম মেটানোর গেটওয়ে থাকবে। দাম মিটিয়ে টিকিট কাটলেই একটি কিউআর কোড তৈরী হয়ে যাবে। সেই কোডটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে থাকা ফ্ল্যাপ গেটে স্ক্যান করলেই খুলে যাবে। একইভাবে বেরোতেও পারবেন যাত্রীরা। এই ফ্ল্যাপগেটগুলিও বিশেষভাবে তৈরী করা হবে যাতে কিউআর কোড-এর মাধ্যমে টিকিট কাজ করে। এতে করে টিকিটের লাইনের ভিড় কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মেট্রো রেলের কর্তারা। তাহলে এবারে তৈরী হয়ে নিন নতুন পদ্ধতিতে মেট্রো রেলের সওয়ারী হতে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...