মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য নভোশ্চরদের সাথে করেই নিয়ে যেতে হয়। বেশ কিছুদিন মহাকাশে থাকতে হওয়ার দরুন বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় সাথে নিয়ে যাওয়া কুকিজ বা এইজাতীয় কোনো খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যায়। কিছু সময় তা শুকিয়ে বা নেতিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির এবার বদল আসতে চলেছে। জানা গেছে, মহাকাশচারীদের জন্য নতুন বেকিং ওভেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুনেই বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে, কি তাই তো? চলুন সম্পূর্ণ ব্যাপারটি জেনে নেওয়া যাক......
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চকোলেট কুকিজ বানানোর ডো আগে থেকেই দেওয়া থাকবে নভোশ্চরদের কাছে। এবার অপেক্ষা শুধু বেকিংয়ের। কিন্তু জিরো গ্র্যাভিটিযুক্ত এলাকায় কিভাবে কাজ করবে বেকিং ওভেন? ভার্জিনিয়ার ওয়ালোপ দ্বীপের একটি প্রাইভেট সংস্থা প্রথম নাসার জন্য এই জাতীয় বেকিং ওভেন বানিয়েছে। ইতিমধ্যেই সিগন্যাস ক্যাপসুলটি নভোশ্চরদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে। তাতে রয়েছে একটি টেস্টিং করার জন্য বেকিং ওভেন এবং স্পোর্টস কারের কিছু পার্টস। জানা গেছে, সোমবারের মধ্যেই অরবিটরি ল্যাবে পৌঁছে যাবে এই ক্যাপসুলটি। জানা গেছে, লঞ্চটি বেশ ভালোই হয়েছে এই যানটির।এইমুহূর্তে স্পেস স্টেশনে উপস্থিত নভোশ্চরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এই অত্যাধুনিক বেকিং ওভেনটি যাতে তারা একবারের জন্য হলেও তার পরীক্ষা করে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে চন্দ্র বা মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেওয়ার যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে তার পথ মসৃন করতেই এই সিদ্ধান্ত। এর আগেও ২০১১ সালে যেসব সামগ্রী মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল তা সহজভাবে কাজে লাগাতে এখনো ব্যর্থ বিজ্ঞানীরা। সেইসব জিনিসও পুনরায় যাতে ব্যবহার করা যায় সেদিকেও নজর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। আলফা ম্যাগনেটিক স্পেকট্রোমিটারগুলিতে নতুন কুলিং পাম্প ব্যবহার করে যাতে আবারও কাজের সহায়ক করে তোলা যায় তার দিকে খেয়াল রাখছেন তারা। তবে জানা গেছে, এই মুহূর্তে উন্নত মানের বেকিং ওভেন পাঠানো সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, এই সদ্য প্রস্তুত ওভেনটিতে এক একবারে একটি করে কুকিজই তৈরী করা যাবে।