অত্যাধুনিক নরওয়ের প্রযুক্তি এবার কলকাতায়! নাম – ‘গ্রাউন্ড ফ্রস্ট’

ইতিমধ্যেই গঙ্গার নীচ দিয়ে ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে।আপাতভাবে পথচলা শুরু, পাকাপাকি ভাবে পথ চলার জন্য এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলার সময় বারবার নানান বাধা বিপত্তি দেখা গিয়ে বউবাজারে।ধস নেমেছে । বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে।  সর্বদা আতঙ্কের আবহ সেখানে। মে মাসের শুরুতে সেই বউ বাজার পরিদর্শন করে গেছিলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি।  বিপর্যয় রুখে ফের সেখানে কীভাবে চলছে মেট্রোর কাজ, পরিকল্পনা কীভাবে করা হয়েছে সব কিছুই খতিয়ে দেখেছিলেন তিনি।  নিজে টানেলের মধ্যে গিয়ে সব কাজ দেখেছিলেন। সবশেষে স্বস্তিমূলক মন্তব্য করে যান তিনি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে কাজ  শেষ করা যায় সে বিষয়ে যথাযথ নির্দেশও দিয়েছিলেন কেএমআরসিএল-র কর্তাদের।

processed-c7a4fdc2-6cb2-4150-8e49-831195e641a6_9lZLxGpg

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে প্রথম ফাটল দেখা যায় বৌবাজারে। ৭০টিরও বেশি বাড়িতে দেখা যায় এই ফাটল। মাস পাঁচেক পর আবারও ১০টি বাড়িতে দেখা যায় ফাটল। উদ্বেগের মাঝেই এখনও কাজ চলছে।

আটটি ক্রস প্যাসেজ তৈরীর কথা ছিল। কিন্তু তাতেই ঘটে বিপত্তি। ক্রস প্যাসেজ তৈরী করতে গিয়েই জল ঢোকে। মল্লিক স্কোয়ারে ইভাকুয়েশন শ্যাফট বানাচ্ছিলো মেট্রো।

এবার সেই চিকিৎসায় যুক্ত হল তরল নাইট্রোজেনের নাম। নরওয়ে বিজ্ঞানীর এই প্রযুক্তির ব্যবহার হবে কলকাতায়। বৌবাজারে মাটির নীচে জলকে এবার ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। গ্রাউন্ড ফ্রস্ট এই প্রযুক্তির নাম।

(-) ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তরল নাইট্রোজেনকে ভুগর্ভে ঢুকিয়ে ফ্রিজ করা হবে জলকে। ১৬০বছরের এই পুরোনো প্রযুক্তির ব্যবহার হতে চলেছে বৌবাজারে। চলছে শেষ ধাপের কাজ। ওয়েলিংটন সংলগ্ন এলাকায় যাতে আর বিপত্তি না ঘটে তাই এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার। বৌবাজার থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট অবধি ছয় মিটার ব্যাসের একাধিক গর্ত করা হবে। সেই পাইপের মধ্যে দিয়েই যাবে তরল নাইট্রোজেন। আটটা থেকে দশটা পাইপ থাকবে। মাটির ১৬মিটার নীচ থেকে এই পাইপ যাবে। পাইপকে ঘিরে একমিটার জায়গায় ভুগর্ভস্থ জল পরিণত হবে বরফে। এই মাসের শেষ থেকেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা কেএমআরসিএলএর। কাজ শেষ হতে চার মাসের কাছাকাছি সময় লাগবে।

সৈয়দ মহম্মদ জামিল হুসেন, ডাইরেক্টর প্রজেক্ট জানিয়েছেন এই প্রযুক্তি নানান উন্নতশীল দেশ এর আগেও ব্যবহার করেছে।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই মনে করা হচ্ছে বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়া যাবে।

২০২০ সালে বাংলাদেশে জাতীয় সড়ক তৈরীর সময় এটি তারা ব্যবহার করেছিল।

এই কাজটি করতে চলেছে নরওয়ের সংস্থা জিও ফ্রস্ট। তাঁদের তরফের বিজ্ঞানী ১৮ তারিখ পা রাখছে তিলোত্তমায়। এই কাজ শুরুর আগে প্রয়োজন পুলিশের অনুমোদন। তরল নাইট্রোজেনের ট্যাঙ্ক রাখার জন্য পার্কিং এর প্রয়োজন। আর পুজোর আগে রাস্তা বন্ধ করে এই কাজ করাটা অনেকটাই কঠিন। পুজোর আগে রাস্তা বন্ধ করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা এখনো আলোচনা সাপেক্ষ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...