কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি, আর তা আরও জমে যায় যদি শেষ পাতে নলেন গুড়ের রসগোল্লা বা কাঁচাগোল্লার মত মরশুমি মিষ্টি থাকে। এই কথা ভেবেই বসিরহাটে একটি মিষ্টি হাব তৈরীর পরিকল্পনা করার কথা ভাবা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই। বসিরহাটের রঘুনাথপুরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নিউটাউনের আদলে তৈরী হবে আরও একটি 'মিষ্টির হাব'। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রশাসনের কথায়, যদি এই প্রকল্প রূপায়িত করা হয় তাহলে বসিরহাট এলাকার মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দাদের খুবই সুবিধা হবে।
বহু শহরেই তো কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়, তবে বসিরহাট খ্যাত নলেন গুড়ের পাক দেওয়া কাঁচাগোল্লার স্বাদ বিশ্ববিখ্যাত। শুধুমাত্র রাজ্যেই নয়, দেশে এবং বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে এই মিষ্টি। বসিরহাট মহকুমায় এই মিষ্টি তৈরী করার হাব কিছু বছর আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এই মিষ্টি হাব কোথায় গড়ে উঠবে তার জন্য এলাকা নির্বাচনের কাজ বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। অবশেষে বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকের রাঘুনাথপুরেই তৈরী করা হবে এই হাব। রঘুনাথপুরে কৃষকবাজারের পাশের জমিতে এই প্রকল্প তৈরী হবে।
মিষ্টি হাবের সাথে ওয়াকিবহাল করতে বসিরহাটের ব্যবসায়ী ও কারিগরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউটাউনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায় ১১ জানুয়ারী বারাসতে যাত্রা উৎসব মঞ্চে এই মিষ্টি হাব তৈরী করার কথা জানান।
উত্তর ২৪ পরগনার শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রণবকুমার নস্কর বলেন, নিউ টাউনের মিষ্টি হাবের আদলে বাসিরহাটেও মিষ্টি ভাব তৈরী হবে। এর জন্যে রাজ্য সরকার প্রায় ৪কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা অনুদান করেছে। এখানে যেহুতু মিষ্টি তৈরী এবং বিপণন দুটোই হবে তার জন্যে ক্রেতাদের সাজিয়ে-গুছিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যাবস্থাও করা হয়েছে। প্রণবকুমার নস্কর আরও জানান, ছানা ও পনির তৈরির ইউনিটটিও থাকবে এই মিষ্টি হাবের পাশেই। এখানে প্যাকেজিং ব্যবস্থাও খুব ভালো রাখা হবে। সরকারিভাবে একটি কো-অপারেটিভ গঠন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার। টাকা চলে এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে মূল কাজ চালু হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।