মধুমেহতে আর থাকছে না চোখরাঙানি

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি জিনিস ছাড়া প্রায় কোনো রান্নাই সম্পূর্ণ হয় না। সবেতেই এটি সঙ্গী হিসেবে দারুন কাজ করে। তার নিজেরও বেশ কিছু জনপ্রিয় পদ রয়েছে যা বাঙালি রসনাকে তৃপ্ত করেছে। নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন, আমি কিসের কথা বলতে চাইছি। আলু। হ্যাঁ। ঠিক তাই। কিন্তু এটাও আপনারা সকলেই জানেন, ডায়াবেটিস হলে এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা আলুর আস্বাদ নিতে পারেননা। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিন্তু এ নিয়ে একেবারেই মুখ খুলতে রাজি নন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গবেষণা সফল হয়েছে। জানা গেছে, এই আলু নানা দিক থেকে স্বাস্থ্যসম্মত হবে। ডায়াবেটিক রোগীরাও নতুন প্রজাতির আলু খেতে পারবেন। পুরো ব্যাপারটাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোপন রাখতে চাইছে।

  প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আদা, হলুদ ও ধানের নতুন প্রজাতি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গবেষণা করেছিল। তার ফল ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই 'মোহিনী আদা' আবিষ্কার করেছেন। আমরা জানি, আদা বেশিদিন রেখে দিলে তাতে পচন ধরে যায়। এটা চাষিদের কাছেও যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়। নতুন প্রজাতির আদার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। যাতে চট করে পচন না ধরে। চাষিদের মধ্যেও ওই আদা জনপ্রিয় করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন প্রজাতির হলুদ-ও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। হলুদের ঔষধি গুণ রয়েছে, তা আমরা সকলেই জানি। 'কুর্কমিন' নামক এক উপাদানের কারণে এটির ঔষধি গুণ বৃদ্ধি পায়। 'উত্তর রূপাঞ্জনা' নামে নতুন ওই প্রজাতির হলুদে কুর্কমিনের পরিমান যথেষ্ট পরিমানে রয়েছে ফলে তার ঔষধি গুণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। 'উত্তর সোনা' নামে এক নতুন প্রজাতির ধান আবিষ্কার করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এই ধরণের ধান চাষের সামগ্রিক খরচ অনেকটাই কম। চাষিরা এই ধরণের ধান চাষের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে পারেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরন্তন চট্টোপাধ্যায় জানান, আদা, হলুদ, ধানের ক্ষেত্রে তাঁদের গবেষণা সফল হয়েছে। তবে অন্য একটি বিশেষ গবেষণা চলছে। এনিয়ে তাঁরা এখুনি কিছু বলতে নারাজ। আলুর একটি বিশেষ প্রজাতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আলুকে আরও স্বাস্থ্যসম্মত কিভাবে করা যায়, তা নিয়ে চেষ্টা চলছিল। ডায়াবেটিক রোগীদেরও এই আলু খাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে বাধা না হয়ে ওঠে সে ব্যাপারেও চেষ্টা চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে গবেষণার অগ্রগতির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছে। এমনকি, দেশের বিভিন্ন মহলও বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার ফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না, কিন্তু তাঁদের আশা, এই গবেষণা বিভিন্ন মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দেবে।   

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...