আবারও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পরিক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এক নতুন বদল আনতে চলেছে। আগেই শোনা গিয়েছিল যে ২০২৬ সাল থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। ফলে, এই সেমিস্টারের ফলাফল দেখেই একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে হবে পড়ুয়াড়া। কিন্তু এবার ফের আরও এক নতুন বদল আসতে চলেছে পদ্ধতিতে।
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে যে এবার থেকে সেমিস্টার পরীক্ষায় পাশ-ফেল থাকবে। অর্থাৎ প্রথম সেমিস্টারে পাশ করলেই পরবর্তী সেমিস্টারে যেতে পারবে, নাহলে নয়।
কিন্তু পাশ করতে গেলে ন্যূনতম কত নম্বর পেতে হবে পড়ুয়াদের? এই বিষয়ে সংসদ সচিব জানিয়েছেন যে আপাতত উচ্চমাধ্যমিকের পাশ মার্কসকেই ধরা হচ্ছে সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য।
সংবাদমাধ্যমে নয়া পদ্ধতি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক জানিয়েছেন যে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে প্রত্যেকটা সেমিস্টারের একটা নিজস্ব পাশ মার্কস থাকবে। অর্থাৎ একটা সেমিস্টার থেকে পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হতে গেলে পরীক্ষায় একটা নির্দিষ্ট শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। তবে সেই নম্বর কত হবে, তা নিয়ে এখনও গাইডলাইন দেওয়া হয়েনি। তবে আশা করা যাচ্ছে যে সেটা ৩০ শতাংশের আশেপাশেই থাকবে।
এছাড়াও সংসদ সচিবের আরও জানিয়েছেন যে তাঁরা আধুনিকীকরণ এবং পাঠ্যক্রমকে বিজ্ঞানসম্মত করে বানাতে চান, যা পড়ুয়া, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে রাজ্যের পঠনপাঠনের মানকেও ধরে রাখতে চায় সংসদ। ফলে, তাঁরা সবদিক ভেবে কাঠামোটা তৈরি করেছেন তাতে টেবিলের চারটে পায়াই শক্ত থাকে।
অন্যদিকে, সংসদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে যে একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টার পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে প্রথম তিনটি অর্থাৎ একাদশের দুটি ও দ্বাদশের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দেড় ঘণ্টার হবে এবং দ্বাদশের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টার। ফলে, দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে দ্বাদশ শ্রেণীকে শেষ সেমিস্টারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।