নতুন বছরেই গল্ফ্গ্রীনের বাসিন্দারা পেয়ে যাবেন একটি নিকাশী পাম্পিং স্টেশন| সেইমত গল্ফ গার্ডেনে একটি নতুন পাম্পিং স্টেশন নির্মানের কাজ চলছে পুরোদমে| ওই এলাকায় জল জমা নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই সংলগ্ন এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়। প্রতি বছরই পাম্প দিয়ে জমা জল সরাতে হয় কলকাতা পুরসভাকে|
গল্ফ্গ্রীন ছাড়াও, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ সরণী ও গল্ফ গার্ডেনের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা এতে উপকৃত হবেন বলে পুরসভা সুত্রে খবর| প্রকল্পটি বেশ কয়েক মাস আগে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিল| এখন শুধুমাত্র অনুমোদনের অপেক্ষা| এই সপ্তাহের শেষের দিকে পুরসভা অধিবেশনে প্রকল্প ও আর্থিক অনুমোদনের ছাড়পত্র মিলতে পারে বলে সূত্রের খবর| নিকাশী বিভাগের এক আধিকারিকের মতে, এই পাম্পিং স্টেশনটি তৈরির যথেষ্ট প্রয়োজন ছিল কারণ ভারী বৃষ্টির সময় গল্ফগ্রিন অঞ্চলে জল জমার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে| শাসক দলের কাউন্সিলার এই অঞ্চলে জল জমে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন| তিনি বলেন, বর্ষাকালে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যেত যে ভারী বৃষ্টি হলে বস্তি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হত| এমনকি বহুতলগুলিতেও জল ঢুকে পড়ত| সেই সমস্যা মোকাবিলার জন্য এই স্থায়ী পাম্পিং স্টেশনটি তৈরী ছাড়া কলকাতা পুরসভার কোনও বিকল্প ছিল না।
পুরসভার এই পদক্ষেপে খুশি সাধারণ মানুষ| এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, গল্ফগ্রিন অঞ্চলে জমা জল বের করতে হলে ভরসা ছিল যোধপুর পাম্পিং স্টেশন| কিন্তু গলফগ্রীন ছাড়াও লেক গার্ডেন, যোধপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল টানতে নিয়ে জলনিকাশী ক্ষমতা কমে গেছে স্টেশনটির| নতুন স্টেশনটি নিকাশী জল টালিগঞ্জের ভুগর্ভের নিকাশী খাল দিয়ে বের করে টালিনালায় ফেলবে |