'আইএমএ'-র নতুন নামকরণ হতে চলেছে সোমবার

আগামী সোমবার তথা ১লা জুলাই ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। এই দিনটিকে ডক্টর'স ডে হিসেবেও পালন করা হয়। ডাক্তারদের কাছে দিনটির আলাদাই গুরুত্ব। এ বছর আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে দিনটি। ছয় লক্ষ চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর হেডকোয়ার্টার্স (আইএমএ) তথা দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ মার্গের অফিসের নামকরণ হতে চলেছে ডাঃ বি সি রায় আইএমএ হাউস।

    গোটা আইএমএ ভবনটির দেওয়াল জুড়ে আঁকা হচ্ছে কিংবদন্তী চিকিৎসকের হাসিমুখের ছবি। সেইদিন ডাঃ রায়ের একটি ব্রোঞ্জের আবক্ষ মূর্তিও স্থাপিত হতে চলেছে আইএমএ হেডকোয়ার্টার্সে। এই বিষয়ে সর্বভারতীয় আইএমএ-র প্রাক্তন বঙ্গ সভাপতি ডঃ সুদীপ্ত রায় জানান, খুবই ভালো খবর, দীর্ঘদিনের বাঙালির মনের ইচ্ছা বাস্তবে রূপ পাবে। সর্বভারতীয় আইএমএ-র বর্তমান সভাপতি ডঃ শান্তনু সেন জানান, জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিনগুলির একটি হতে চলেছে আগামী ১লা জুলাই। তাঁর নিজের সভাপতিত্বের সময় এই ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে তিনি আরও খুশি।

      আইএমএ সূত্রের খবর, গত ৬ এপ্রিল পুরীতে সর্বভারতীয় আইএমএ-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দিল্লিতে আইএমএ-র হেডকোয়ার্টার্সের নাম পাল্টে রাখা হবে বি সি রায় আইএমএ হাউস। আগামী ১লা জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ প্রত্যেকটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সর্বভারতীয় আইএমএ। বিকেল পাঁচটায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশের কৃতি ৩০ জন চিকিৎসককে সম্মানিত করা হবে। তার আগে সকাল থেকেই যদিও বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে।

    আইএমএ হেডকোয়ার্টার্সের নতুন নামকরণ করার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাশ করতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে সংগঠনের শাসক গোষ্ঠীকে। বিহার-এর আইএমএ লবি দাবি জানিয়েছিল তাদের চিকিৎসক ডঃ এ কে এন সিনহা-র নাম ও হতে পারে। তখন ডঃ রায়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরা হয়েছিল আইএমএ-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তরফ থেকে। তারপর সকলেই একবাক্যে সম্মতি জানান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশ তথা পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ এই চিকিৎসক সংগঠনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। ১৯২৮ সালে কলকাতার ৬৭নং লেনিন সরণীতে প্রতিষ্ঠিত হয় সর্বভারতীয় আইএমএ। তার প্রথম সভাপতি ছিলেন ডঃ বিধান চন্দ্র রায়দ্বিতীয়বারের সভাপতিও হয়েছিলেন আর এক প্রবাদপ্রতিম বাংলার চিকিৎসক ডঃ স্যার নীলরতন সরকার। তারপর স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালে আইএমএ হেডকোয়ার্টার্স দিল্লিতে চলে যায়। যা নিয়ে এখনও বহু আইএমএ সংগঠকদের খেদ রয়েছে। আগামী সোমবারে আইএমএ-র নতুন নামকরণ এই আক্ষেপে কিছুটা মলম লাগাতে পারবে আশা করাই যায়।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...