কলকাতার টালা ব্রিজ নতুন করে তৈরী হবে সে বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শহরবাসী যানজট সঙ্গী করেই দিন গুনবে নতুন ব্রিজ তৈরির। টালা ব্রিজ নতুনভাবে তৈরির জন্য মডেল তৈরী করছে পিডব্লিউডি। নতুন নকশা অনুযায়ী টালা ট্যাঙ্কের পাইপ সুরক্ষিত রেখেই ব্রিজ তৈরী হবে। ইন্জিনিয়াররা যে নকশা করে দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই মডেল তৈরী করা হয়েছে। সেটি কেএমডিএ খতিয়ে দেখছে। মডেলটির ওপরে লেখা রয়েছে, ব্রিজ ডেস্ক স্ল্যাব, ফিনিশড গ্রাউন্ড লেভেল, ফাউন্ডেশন টপ, ক্লিয়ার গ্যাপ ২.০ মিটার।
ব্রিজের ওপর দিয়ে কিভাবে জলের পাইপ আনা যায়, আপাতত সেই নিয়েই ব্যস্ত কলকাতা পুরসভা। পূর্ত কমিশনারকে টালা ব্রিজের মডেল দেখানো হয়েছে। যদিও অনুমোদন পাওয়া যাবে কি না এই নতুন মডেলের তা এখনও স্থির হয়নি। টালা ব্রিজের নিচে রয়েছে চক্ৰরেল লাইন বরাবর বসতি এলাকা। টালা ট্যাঙ্কের পাইপলাইনগুলিও বাঁচিয়ে কিভাবে ব্রিজ করা যায়, সেটাও যথেষ্ট বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে। কেএমডিএ থেকে ওই প্রস্তাবিত ব্রিজের মডেল আনা হয়েছে কলকাতা পুরসভায়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, টালা ব্রিজে রেললাইনের ওপরের অংশ ভাঙবে রেল এবং বাকি অংশ ভাঙবে পূর্ত দফতর। একইভাবে টালা ব্রিজ তৈরির নকশাও যৌথভাবে করবে পূর্ত দফতর এবং রেল। রেলকে ইতিমধ্যেই রাজ্য চিঠি পাঠিয়েছে যাতে যত দ্রুত সম্ভব টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী রেললাইনের ওপরের অংশে থাকা ব্রিজ তৈরির দায়িত্ব রেলের। বাকি দু'দিকের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য। ৬৭৫ মিটার দীর্ঘ ৫৭ বছরের পুরনো টালা ব্রিজ ভাঙাই ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা থেকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সবদিকেই নজর রাখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। মূলত পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। টালা ট্যাংক, বসত বাড়ি ছাড়াও রয়েছে পণ্যবাহী দূরপাল্লার ট্রেনের কারশেড। খেয়াল রাখতে হবে ব্রিজ ভাঙতে গিয়ে যেন পরিবেশ দূষণ না হয়। কর্মীদের সবরকম নিরাপত্তা এবং অল্প সময়ে কম খরচে ব্রিজ তৈরির দিকেও নজর রাখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের।