সকাল বেলার এক কাপ চা আমাদের চা প্রেমীদের মুখে ঝলমলে হাসি এনে দেয়। শীতের সকাল হোক বা গ্রীষ্মের সকাল প্রতিটি বাড়িতেই কম বেশি চা পান করার চল রয়েছে । আবার চায়ের দোকানে ইস্ট বেঙ্গল -মোহন বাগান নিয়ে তর্ক- বিতর্ক ও বিরাট আকার ধারণ করতে পারে।
চা আমরা কম বেশি সবাই খেতে ভালোবাসি। বিভিন্ন মানুষ আবার নিজের মনের মতো করে চা বানিয়ে খায়, কেউ দুধ চিনি দিয়ে, চা কেউ গ্রীন টি,কেউ চিনি ছাড়া লিকার চা, মশলা চা ইত্যাদি কত রকম চা। আর চা প্রক্রিয়াকরণ এক ধরণের আর্ট। কারন প্রথমে চা পাতা তোলা ,বাছা, পরিষ্কার করা, প্রসেসিং এ দেওয়া কত রকম এর প্রক্রিয়া। তার পর বাজারে দোকানে আমরা চা পাতা কিনতে পারি।
'চা' এর এত জনপ্রিয়তার কারণ কি? চায়ের অনেক গুনাগুণ। যেমন - 'গ্রীন টি'- এই চা পান করলে আমাদের হার্ট সুস্থ থাকে তেমনি শরীর সুস্থ হতে সাহায্য করে। লো ব্লাড প্রেশার, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক হবার প্রবণতা থেকে আমাদের রক্ষা করে, আবার ওজন কমাতে সাহায্য করে, আমাদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে স্ট্রং হতেও সাহায্য করে, তাই গ্রীন টি কে মেডিকেটেড চা ও বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই চায়ের গুনাগুণ নিয়ে। যে চা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তাতে নানান রকম ভেজাল রং মেশানোর কারণে চা খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারের বদলে অপকার ডেকে আনছে।
তাই চা পাতার মান বাড়াতে টি বোর্ড দু মাস ধরে চা পাতা তোলা ও কারখানায় চা তৈরী করা বন্ধ রেখেছিলো, কারণ ভালো মানের চায়ের চাহিদা বাজারে সবসময়ই রয়েছে। এবার চা পর্ষদের লক্ষ্য হলো চা শিল্প কে আরও উন্নত করা। কারণ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের মতো চায়ের গুণগত মান নিয়ে - ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-তে নানান পরীক্ষা করা হয়। বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুন কুমার রায় জানান - শুধু চা রপ্তানির দিকেই নজর নয় এইবার থেকে চায়ের মান বাড়ানোর দিকেও কড়া নজর দিচ্ছে বোর্ড।
পর্ষদের নতুন নিয়ম কে সাধুবাদ জানিয়েছে ইন্ডিয়ান টি এসোসিয়েশন ও কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স এসোসিয়েশন। কারণ চায়ের মান বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রাখলে শুধু শিল্পই উপকৃত হবে না চা প্রেমীরা বেশি দাম দিয়ে চা কিনতেও আগ্রহী হবে .