নতুন পদক্ষেপ রেলমন্ত্রকের

রেল সুরক্ষা মন্ত্রকের নতুন ভাবনারেলমন্ত্রক ইনফ্রারেড সেন্সারের পরে এবার আনলো জিপিএস ট্র্যাকার। ট্রেন বেলাইন হওয়া থেকে রুখতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। যার জন্য রেল বোর্ড সাহায্য নিয়েছে যে, রেল লাইনে কর্মরত ট্র্যাকম্যানদের হাতে তুলে দেওয়া হবে জিপিএস যন্ত্র। আর এই যন্ত্রের সাহায্যে কর্মীরা রেললাইনের কোনও অংশে ফাটল বা অন্য কোনওরকম গাফিলতি চোখে পড়লে ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে সেই জরুরি বার্তা রেলওয়ে কন্ট্রোল রুম, নিকটবর্তী স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এবং ওই লাইনের পরবর্তী ট্রেনের চালকের কাছে পৌঁছে যাবে। ফলে এর সাহায্যে নিশ্চিতভাবেই এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা।

   এর আগে রেলমন্ত্রক রেললাইনের নজরদারির কাজের জন্য ইনফ্রারেড সেন্সর এবং হাইস্পিড ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু জায়গাতে তার ব্যবহার শুরুও হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার জিপিএস ট্র্যাকার যন্ত্রের সাহায্যে বেলাইন হয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় নির্মূল করে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন রেলের আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, যে যন্ত্রটি ট্র্যাকম্যানদের কাছে দেওয়া থাকবে তাতে থাকবে একটি লাল রঙের বোতাম। যদি রেললাইনে কোনও ফাটল বা গাফিলতি নজরে আসে, তবে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্র্যাকম্যান ওই লাল বোতামটিতে চাপ দেবেন। সেই মুহূর্তেই জিপিএস ট্র্যাকার দেখে নেবে, যে অংশে ওই ট্র্যাকম্যান রয়েছেন, তার নিকটবর্তী স্টেশন কোনটি এবং ওই লাইনে কোন ট্রেন আসছে। ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে সেই বিপদসঙ্কেত পৌঁছে যাবে উল্লিখিত দু’টি ক্ষেত্রে এবং রেলের কন্ট্রোল রুমে। এরপরে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেখা গিয়েছে যে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত যে সমস্ত রেল দুর্ঘটনা হয়েছে তার বেশির ভাগটাই হয়েছে ট্রেন বেলাইন হওয়ার কারনে। তাই চলতি বছরে এই বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছে রেলমন্ত্রক। জানা গিয়েছে যে,এই ব্যবস্থার জন্য প্রতি যন্ত্র পিছু খরচ হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট ডিভিশনে ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার জিপিএস ট্র্যাক যন্ত্র। আগামীদিনে সমস্ত জোনেই এর ব্যবহার শুরু করতে চলেছে রেলমন্ত্রক

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...