কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় এসে ভিড় জমান। কেউ কেউ সাময়িক কালের জন্য সেখানে থাকেন আবার কেউ স্থায়ী ভাবে বসবাস করে থাকেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন আমেরিকার অভিবাসীদের নিয়ে নতুন মত প্রকাশ করলেন। সরকারি জনকল্যানমূলক প্রকল্পের সুবিধা নিলে স্থায়ী নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে আমেরিকার অভিবাসীরা।
গত ১২ই আগস্ট অর্থাৎ সোমবার আমেরিকার প্রশাসন অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বিশেষত দক্ষিণ আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশ গুলি থেকে যে সকল দরিদ্র মানুষ জীবিকার জন্য আমেরিকায় আসেন তারা আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হতে পারবে না। কারণ অভিবাসীরা স্থায়ী নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকার স্থায়ী নাগরিকদের ন্যায় সরকারী কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। ট্রাম্পের মতে ঐ সকল সুযোগ সুবিধা শুধুমাত্র আমেরিকার স্থায়ী নাগরিকদের জন্যই। এই সকল সুবিধা গুলির মধ্যে থাকে বিভিন্ন কল্যাণ মূলক প্রকল্প, সরকারি চিকিৎসা, ফুড স্টাম্প ইত্যাদি। যে সকল আভিবাসীরা এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে তারা কখনই আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না।
জীবিকা নির্বাহের তাগিদে যদি কোনও অদক্ষ শ্রমিক বা বিদেশ থেকে আগত কেউ আমেরিকায় এসে সেখানকার সরকারি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গুলি নিতে পারে বলে মনে করা হয়, তাহলে তাকে আমেরিকায় ঢুকতেই দেওয়া হবে না আর যারা বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন এবং সরকারি সুযোগ ভোগ করছেন তাদের আমারিকার স্থায়ী নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করে রাখা হবে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে ট্রাম্প মন্তব্য করেন অভিবাসীরা না থাকলে এবং আমেরিকার সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহন না করলে আমেরিকার নাগরিকরা আরো অনেক সুবিধা পেতেন। এই সকল বিষয় বিবেচনা করেই ট্রাম্প এই নতুন আভিবাসন নীতি ঘোষণা করেন।
আইনি নিয়ম মেনে বর্তমানে আমেরিকায় প্রায় ২ কোটির বেশি বিদেশি বসবাস করেন এবং বেআইনি ভাবে ১ কোটির বেশি। তাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছেন যারা বহুদিন ধরে আমেরিকায় বসবাস করে আসছেন এবং সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন। এবার তারা অনেকেই সরকারি সুবিধা ব্যতীত জীবন যাপনে এবার বিপাকে পড়বেন। শুধু তাই নয় নতুন অভিবাসন নীতি দ্বারা স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হল আমেরিকায় আসা অভিবাসীদের আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে হবে।