মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে 'এলএসই'-তে ট্রাস্টের স্কলারশিপ ঘোষণা

লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্রিটেনের গান্ধী স্ট্যাচু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান লর্ড মেঘনাদ দেসাই, গত বুধবার গান্ধীর নামে একটি স্কলারশিপ চালু করার উদ্দেশ্যে ট্রাস্টের তরফে ১ লক্ষ পাউন্ড দান করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। মূলত মহাত্মা গান্ধীর মতাদর্শকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই এই নতুন উদ্যোগ বলে জানিয়েছে গান্ধী স্ট্যাচু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। এই অর্থ প্রাথমিকভাবে ট্রাস্ট জমা করলেও পরে প্রয়োজনে বা নিজেদের তাগিদে অন্য যে কেউ এখানে অর্থ প্রদান করতে পারবে।

                       এলএসই-র ডিরেক্টর মিনোশে শফিফ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর ফলে এলএসই-তে পড়তে ইচ্ছুক, যোগ্য ভারতীয় পড়ুয়ারা অনেকটাই লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এলএসই-র সুদৃঢ় যোগাযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, এখান থেকেই ভারতের সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকর পড়াশোনা করেছিলেন। এছাড়াও ১৯৩১ সালে স্বয়ং গান্ধীজি এখানকার ওল্ড থিয়েটারে বক্তৃতা দিয়ে সেই সময়ে উপস্থিত সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন।

                      প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জন্য বিশেষ সুযোগ আনতে উদ্যোগী হয়েছে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স। এলএসই-র ডিরেক্টর তথা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন গভর্নর মিনোশে শফিফ গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে এসে দিল্লিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে। ডিরেক্টরের ভারত সফরের মধ্যেই এলএসই-তে ভারতীয় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক স্কলারশিপ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি পড়ানোর সুযোগ এবং গবেষণা বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হবে বলে জানানো হয়েছে এলএসই -র পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, এই প্রোগ্রামের ফলে একদিকে যেমন এলএসই-র পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা ভারতে আসবেন, অপরদিকে ভারতীয় শিক্ষকেরাও এলএসই-তে গবেষণার সুযোগ পাবেন।

                    এছাড়াও ব্রিটেনের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের দু'বছর কাজ করার জন্য ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে পড়া শেষের পর ছাত্র-ছাত্রীরা সেদেশে দীর্ঘমেয়াদি কাজের সুযোগ পাবেন। ভারতে নিযুক্ত ব্রিটেনের হাই কমিশনার স্যার ডমিনিক অ্যাস্কুইথ জানান, ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য এটি যথেষ্ট ভালো খবর। এই সিদ্ধান্তের ফলে পড়া শেষের পর তাঁরা ব্রিটেনে থেকে কাজের ক্ষেত্রে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন। বিশ্বের অন্যতম বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ব্রিটেনে। প্রতি বছর সেখানে ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়ছে।

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...