আলো অন্ধকার মেশানো এক জগত, তবে সেখানে আলোর থেকে অন্ধকার নিঃসন্দেহে বেশি| সেখানে সূর্যের আলো খুবই কম ঢোকে, মাটি খুবই স্যাঁতস্যাঁতে, সারাদিন ধরে বৃষ্টি হয়ে চলে| নানা অজানা গাছ, লতা পাতায় ঢেখে রাখে নিজেকে| ঢেখে রেখে নিজেকে করে রেখেছে দুর্গম ও রহস্যময়| ঠিকই ধরেছেন আমরা কথা বলছি আম্যাজনের গহীন জঙ্গলের| বিশাল জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই আম্যাজন জঙ্গলকে অনেকে পৃথিবীর ফুসফুস বলে অভিহিত করে| এবার সেই জঙ্গলের স্বাদ যদি আমাদের কলকাতায় পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়?
এরকম আম্যাজনের জঙ্গলের আবহ তৈরী করতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা| কারণ আম্যাজনের অন্যতম আকর্ষণ আসছে কলকাতায়| ঠিকই ধরেছেন আন্যাকোন্ডা আসছে কলকাতায়|
পুজোর পরেই কলকাতায় আসার কথা আছে চারটি আনাকোন্ডার| তাই তাদের জন্য তৈরী হচ্ছে নতুন জায়গা যাতে থাকবে আম্যাজনের আবহ| এই গ্রীষ্মকালেই আসার কথা ছিল চারটি আনাকোন্ডার| কিন্তু আলিপুর কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন রেপটাইল হাউসে যেখানে অন্যান্য সাপ আছে সেখানে আন্যাকোন্ডা রাখবে না| আনাকোন্ডার জন্য আলাদা জায়গা বানাবে| কারণ ভারতে অল্প জায়গাতেই আনাকোন্ডার আছে| তাই দর্শকদের কাছে আরো বেশি আকর্ষক করে তুলতে ও ভিড় সামলাতে এই সিদ্ধান্ত|
চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর কাঁচ লাগিয়ে আনাকোন্ডার ঘরে আলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে| এবং জঙ্গলের আবহ তৈরী করার জন্য রাবার গাছ ও কিছু কৃত্রিম লতাপাতা লাগানো হবে| তৈরী করা হবে কৃত্রিম জলাভূমি|খাবার হিসাবে দেওয়া হবে মুরগি ও মাছ| আনাকোন্ডার দৌলতে এবার শীতে দর্শকদের কাছে অন্যতম গন্ত্যব্য স্থল হতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা|