আমাদের রাজ্য থেকে বেশ কিছু দ্রব্য বাইরে রপ্তানি করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও রপ্তানি নীতি নেই রাজ্য সরকারের। কৃষি এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একটি কৃষিপণ্য রপ্তানি নীতি তৈরী করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বাংলা থেকে সবথেকে বেশি রফতানি হয় পাটশাক। ইউরোপে পাটশাকের চাহিদা যথেষ্ট। এছাড়াও তুলাইপাঞ্জি চাল সহ অন্যান্য চালের চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারে। রাজ্যের বিভিন্ন সবজি, পান, মাছও বিদেশে রফতানি করা হয়। দুবাই, চীন সহ মধ্য- পূর্ব রাশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপে এই সমস্ত কৃষিপণ্য রপ্তানি করা হয়।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি নীতির ওপর ভিত্তি করেই এবং তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রপ্তানি নীতি তৈরী করবে রাজ্য। যার মাধ্যমে গোটা রপ্তানি প্রক্রিয়া একটি সিস্টেমের মধ্যে চলে আসবে। তবে রপ্তানিকৃত কৃষি পণ্যের গুণগত মান আরও উন্নত করতে চায় রাজ্য সরকার। রপ্তানি নীতি তৈরী করার জন্য মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কমিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। কমিটিতে কৃষি দফতরের প্রধান সচিব, কৃষিপণ্য বিপণন দফতরের প্রধান সচিব, উদ্যান পালন দফতরের প্রধান সচিব, মৎস্য দফতরের প্রধান সচিব এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবকে রাখা হয়েছে। ওই কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করার পর, কৃষিপণ্যের ওপর রপ্তানি নীতি তৈরী করবে। নোডাল দফতর হিসেবে কাজ করবে কৃষি বিপণন দফতর।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, এখন আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন দ্রব্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। যদিও সেগুলির তথ্য রাখা হয়, তবু সেগুলো যথেষ্ট অগোছালো অবস্থায় রাখা রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যক্তি বা উদ্যোগী সংস্থা চাল, আলু, বিভিন্ন সব্জি রপ্তানি করে। আশা করা হচ্ছে, কৃষিপণ্য রপ্তানি নীতি তৈরী হলে গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আসলে বিদেশে বাঙালিদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি তাই এখানকার জিনিসপত্রেরও চাহিদা রয়েছে বাইরে। এছাড়া রপ্তানির ফলে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আশা করাই যায়, রপ্তানি নীতির ফলে রাজ্যে জিনিসপত্র রপ্তানিতে আর একটু গতি আসবে এবং তা গুছিয়ে করা যাবে।