একটা ছুতো দরকার, তারপর সেটাকে কাজে লাগিয়েই কিভাবে ঘুরতে যেতে হয় সেটা হয়েতো একমাত্র বাঙালিরাই জানে বৈকি! বারো মাসে তেরো পার্বণ। ফলে, এই বাঙালিদের কাছেই একের পর এক কিছু না কিছু লেগেই থাকে। কিছুদিন আগেই মিটল শিবরাত্রি পুজো। এবার আসছে দোলযাত্রা।
এই দোল উৎসবে প্রায় অনেকেই ঘুরতে চলে যায়। অফিস হোক কিংবা স্কুল, কলেজ, সব জা য়গাতেই থাকে হোলির ছুটি। ফলে, এই ছুটির জন্যই মুখিয়ে থাকে অনেকে। সপ্তাহ জুড়ে এখন শুধু দোল উৎসবের আমেজ। এবারে এই উৎসবে মন চাইছে একটু প্রকৃতির সাথে মিশে দোল খেলতে? কিন্তু ভেবে উঠতে পারছেন না কোথায় যাবেন? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যেই রয়েছে। জেনে নিন সেই ঠিকানাটি।
পর্যটকদের জন্য নতুন রইল এক নতুন ডেস্টিনেশন। সেটা হল উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের কোলে রয়েছে এক সুন্দর হোমস্টে। একবার সেখানে পা রাখলেই মন ছুঁয়ে যাবে সকলের। একদিকে সাদা তুলোর মতো মেঘের ছোঁয়া, অন্যদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ এবং গীতখোলা নদীর কলকল শব্দে আপনার সমস্ত ক্লান্তি নিমেষে উড়িয়ে দেবে।
কিন্তু এই হোমস্টেটি কোথায় অবস্থিত? জানা গিয়েছে যে লাভা-লোলেগাঁও এবং নতুন পর্যটন স্থান পাশাবং সংলগ্নই অবস্থিত এই এইচ.আর.টি হোমস্টে। মনোরম এক পরিবেশ। সেখানে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট কটেজ যেগুলোতেই রয়েছে আভিজাত্যের একটা ছোঁয়া।
আপনি জলপাইগুড়ি নেমে লাটাগুড়ি, গরুমারা, মূর্তি, চাপড়ামারি জঙ্গল পেরিয়ে চালসা মেটেলি, সুলতানিখোলার আরও কিছুটা ওপরে গুরুবাথান পাপড়ক্ষেতি, আম্বিয়াক হয়ে পাহাড়ের কোলে পরিবার নিয়ে কিংবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসা যেতেই পারে এই হোমস্টেতে।
একবার যদি আপনি এখানে ঘুরে আসেন আত্মীয় পরিজনদের শেয়ার না করে থাকতেই পারবেন না। নিজেরও মনে হবে বার বার সুযোগ পেলে ঘুরে আসি। এই হোমস্টেতে প্রতিটি কোণায় কোণায় রয়েছে অত্যাধুনিক লুক।
এখানেই শেষ নয়, পর্যটকদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ আকর্ষণ। রয়েছে নোকডারা বেটিং লেক। দেখা গিয়েছে যে এখানে পরিযায়ী পাখিদের আসা যাওয়া লেগেই থাকে। ফলে, সেই পাখিদের কাছে বসে আপনি অনেকটা সময় কাটাতে পারবেন।
তাহলে আর কি ভাবছেন বলুন তো? এই গরম থেকে রেহাই পেতেই এই সুন্দর হোমস্টেটি পর্যটকদের জন্য একদম ‘পারফেক্ট’। কয়েকটাদিন নিরিবিলিতে থাকতে চাইলেই পরিবারকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন এবং ভ্রমণ তালিকায় নাম রাখুন এই হোমস্টের ঠিকানা।