আবারও কোভিড সংক্রমণের খোঁজ মিলল আমেরিকায়।
এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে ওমিক্রন জেএন.১ প্রযাতির মিউটেশনেই তৈরি হয়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্লার্ট’।
কিছু চিকিৎসক হালকা করে বলেছেন যে নতুন এই ভ্যরিয়েন্টের নামটি একেবারে যথাযথ, কারণ দ্রুত সংক্রমণ ক্ষমতা রয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টের। এই ওমিক্রন জেএন.১ প্রযাতির মিউটেশন থেকে তৈরি হয়েছে কেপি.২ এবং কেপি ১.১। ফলে, ডিজিজ সোসাইটি অফ আমেরিকা জানিয়েছেন যে এই মিউটেশন তৈরির ওপর ভিত্তি করেই ‘ফ্লার্ট’ নামটি রাখা হয়েছে। ওমিক্রনের থেকে কয়েক গুণ সংক্রমক এই ভ্যারিয়েন্ট।
তবে, ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে ফ্লার্টের উপসর্গে আলাদা কিছু ফারাক নেই বলেই জানা গিয়েছে। ওমিক্রনের মতনই হালকা উপসর্গ দেখা দেয় ফ্লার্টেও। অর্থাৎ জ্বর, গলা ব্যাথা, কাশি, অসম্ভব ক্লান্তির মতন চেনা উপসর্গ। এছাড়া এই দুই ভাইরাসের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম। ফলে, বাড়িতে বিশ্রাম নিলেই ধীরে ধীরে কমে যাবে এই সংক্রমণ।
জানা গিয়েছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ তকমা দিয়ে নজরদারির তালিকায় রেখেছে। এছাড়া চিকিৎসকেরা উন্নতর টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন যাতে কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে আরও সুরক্ষিত থাকা যায়।
কিন্তু কতটা আমাদের দেশ কতটা বিপদমুক্ত এই রোগ থেকে? দেখা গিয়েছে যে আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ‘ফ্লার্ট’ সংক্রমণ।
দিল্লির সি কে বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের পরিচালক রাজীব গুপ্ত এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে এখনও অবধি ছোট তরঙ্গ পেয়েছে এই ফ্লার্ট। এছাড়া সামগ্রিক মৃত্যুর হারও বাড়েনি। ফলে, সবটাই সময়ের ওপর নির্ভর করছে।