সায়েন্স সিটিতে থ্রি ডি স্পেস থিয়েটার

কলকাতার সায়েন্স সিটিতে বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক মডেল যেমনভাবে রাখা হয়েছে, তাতে খেলাচ্ছলে বিজ্ঞান বিষয়কে খুব সহজভাবে বোঝানো হয়েছে। বছরের শুরুতেই দর্শকদের অত্যাধুনিক থ্রি ডি স্পেস থিয়েটার উপহার দিতে চলেছে সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষ। এনালগ নয়, ডিজিটাল ফরম্যাটে এই অত্যাধুনিক থিয়েটারটি খুব তাড়াতাড়ি সেজে উঠেছে। এই নতুন পদ্ধতিতে পুরনো যে স্ক্রিন বা পর্দা, সেটাও পাল্টে ফেলা হচ্ছে। কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুদানে মোট ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্পেস থিয়েটারটি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই নতুন আঙ্গিকে এই স্পেস থিয়েটারটি খুলে যাবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ মার্চ সংস্কারের জন্য থিয়েটারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নবরূপে সজ্জিত ৩৬০ আসন বিশিষ্ট এই স্পেস থিয়েটারটি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করার উদ্যোগ নিচ্ছে সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষ। এই ধরণের থিয়েটার ভারতে প্রথম। প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে। ১৯৯৭ সালে এই সায়েন্স সিটিতেই তৈরী হয়েছিল ভারতের প্রথম টুডি স্পেস থিয়েটার। এটি তৈরী করেছিল জাপানি কোম্পানি গোতো। এই ডিজিট্যাল প্রযুক্তিতে স্পেস থিয়েটারের বদল একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, যা ভালভাবেই উতরে গিয়েছে। এখন চেয়ার বসানো ও আধুনিক শব্দ প্রক্ষেপন ব্যবস্থার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা বাকি রয়েছে। এখানকার অধিকর্তা শুভব্রত চৌধুরী জানান, যুগের সংগে তাল মিলিয়ে চলার সময় এসেছে, পুরনো স্পেস থিয়েটারটি ২০ বছর চলেছে। এনালগ পদ্ধতিতে পরিচালিত স্পেস থিয়েটারটি এ পর্যন্ত ৭০-৭২ লক্ষ দর্শককে তৃপ্তি দিয়েছে।

    এখন ডিজিট্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দর্শদের মন জয় করার অপেক্ষায় রয়েছে সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষ। এটি আগের স্ক্রিনের তুলনায় অনেক বেশি মসৃণ। যার ফলে থ্রি ডি এফেক্ট আরও বেশি কার্যকর হবে। অস্ট্রটেক নামে এক মার্কিন সংস্থা এই স্ক্রিনটি তৈরী করেছে। সংস্থার অধিকর্তা জানান, এই স্ক্রিনটি অনেক বেশি ভূমিকম্প রোধক। এখানে হাই রেজোলিউশন সম্পন্ন ছয়টি কৃষ্টি মিরর প্রজেক্টর লাগানো হয়েছে। এই ছয়টি প্রজেক্টর দিয়ে পুরো ডোমে  স্ক্রিনিং করা হবে। জার্মানির কার্লজাইস কোম্পানি এই ক্রিস্টি মিরর প্রজেক্টর তৈরী করেছে। এইভাবে উন্নত প্রযুক্তিতে সায়েন্স সিটিতে নতুনভাবে স্পেস থিয়েটার চালু হতে চলেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...