পুরীতে নেতাজি সংগ্রহশালা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি সম্মান জানিয়ে ওড়িশার পুরীতে উদ্বোধন করা হল একটি সংগ্রহশালার। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল সংগ্রহশালার দরজা। নেতাজির দুষ্প্রাপ্য ছবি, নথি, ব্যবহার করা জিনিস, চিঠি, মুদ্রা ইত্যাদি স্থান পেয়েছে সংগ্রহশালায়।

ওড়িশা সরকারের পর্যটন বিভাগের উদ্যোগে। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এই সংগ্রহশালা একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ওড়িশার পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অশোক চন্দ্র পণ্ডা।  

৩. ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সমগ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে।  

সংগ্রহশালা গড়ে উঠেছে জানকীনাথ বসুর তৈরি করা একটি ভবনে। কটকে গোপাল বল্লভ রোডে ১৯১৬ সালে তিনি এই ভবন তৈরি করেন।

নেতাজির পড়ার ঘর, শোয়ার ঘর, ব্যবহার করা আসবাব, বইপত্র, ছোটবেলার পোশাক দেখতে পাবে সাধারণ মানুষ।

সংগ্রহশালার প্রবেশমূল্য ১০ টাকা।   

অন্যদিকে, নিখাদ নেতাজি প্রেম থেকে কটকে তৈরি হয়েছে আরও একটি সংগ্রহশালা।  

পুরো উদ্যোগের নেপথ্যে আইনজীবী মহম্মদ মুস্তাক। কটকের বাদাহাট অঞ্চলে তাঁর বাড়িতেই গড়ে তোলা হয়েছে সংগ্রহশালাটি।

নেতাজি সংক্রান্ত নথি ও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ৫৬ বছর বয়সী এই আইনজীবী নিজে থেকে বহু অর্থ ব্যয় করেছেন। সব কিছুর পিছনে আছে তাঁর নিখাদ নিখাদ নেতাজি প্রেম।

মুস্তাক জানিয়েছেন,  নেতাজির জীবনে কটক পর্ব, তাঁর স্কুল জীবন, জাজপুর জেলায় তাঁর কর্মকান্ড বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গবেষনার বাইরে থেকে গিয়েছে। বিশেষ করে কটকে তাঁর ছোটবেলার জীবন।

১৯১০ সালে কলেরা মহামারীর আকার নিলে নেতাজি স্থানীয় মানুষের সেবায় নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। কটক থেকে কোরেই হাতে হোমিওপ্যাথি ওষুধের বাক্স নিয়ে ঘুরে পৌঁছে যেতেন আতুর মানুষের দরজায়।

নেতাজীর সহপাঠী ফকিরুদ্দিন হাজারী তাঁকে এই বাক্স উপহার দিয়েছিলেন। প্রায় দশবছর সেই বাক্স নেতাজির অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী ছিল।

কটকের সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে বাক্সটি। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীবাঈকে লেখা বেশ কিছু চিঠিও আছে।

১৯১৩ সালে বিহার- উড়িষ্যায় প্রকাশিত গেজেটও আছে। যেখানে নেতাজির আইসিএস পরীক্ষার পাশের খবর প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল।

১৯২৫ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত নেতাজি ‘ফরোওয়ার্ড’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই পত্রিকার কপিও সংরক্ষন করা হয়েছে।  

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...