মানবজীবনের তিনটি মৌলিক চাহিদা হল খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান। কিন্তু এই তিনটি জিনিস পেয়ে গেলেই কি মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব। এই তিনটি জিনিস ছাড়া কি মানুষ বেঁচে নেই? অবশ্যই বেঁচে আছে তার কারণ এই তিনটি জিনিস ছাড়াও মানুষের জীবনে এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস হল অক্সিজেন। যা মানুষকে প্রদান করে পৃথিবীর সবুজ আবরণ। প্রকৃতির এই দান কে মানুষ তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে কেটে সাফ করে দিচ্ছে গাছপালা।
যার ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। বাসস্থান হারাচ্ছে বহু পাখি, খাদ্যের সম্ভার হারাচ্ছে নিরামিষাশি প্রাণীরা। তাই গাছ কাঁটার বিরুদ্ধে সমাজকে বার্তা প্রদান করতে সেজে উঠছে নেতাজি বালক সংঘ-র পূজা মন্ডপ। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির দুইজন সদস্য স্বার্থক দে ও অর্ধেন্দু দে। সঞ্চালক ইকেবানার সাথে তাদের পুজোর ব্যাপারে জানলাম আমরাও। এই বছর ৪৮তম বর্ষে তাদের থিম “আজ যারা, গাছ ছাড়া”।
আর এই থিমকে আরও ভালোভাবে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরার জন্য তিনটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে তাদের মন্ডপকে। প্রথম অধ্যায়ে দেখা যাবে সবুজের আবরণে ঢেকে থাকা ধরণীকে, দ্বিতীয় অধ্যায়ে দেখা যাবে ইমারতের ভিড়, যেখানে টাকার বিনিময় বিক্রি হচ্ছে অক্সিজেন আর তৃতীয় অধ্যায়ে দেখা যাবে মানুষকে এই সঙ্কটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দশভুজা নিজের হাতে তাদের গাছের বীজ প্রদান করছেন। প্যান্ডেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে থাকবে আলেক সজ্জার ব্যাবহারও। আর প্রধান উল্লেখ্য এখানে মায়ের হাতে কোনও অস্ত্র থাকবে না, থাকবে বিভিন্ন গাছের বীজ।
তৃতীয়ায় দুঃস্থ শিশুদের ব্স্ত্র বিতরণের মধ্যে দিয়ে শুরু ববে তাদের ২০১৯ শারদোৎসবের পথচলা। অষ্টমীতে ঢাক বাজানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানান সদস্যরা। নবমীতে সকল পল্লীবাসীদের নিয়ে থাকবে মহাভোজের আয়োজন। দশমীতে ধুনোচা নাচ প্রতিযোগিতা ও সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে বিদায় জানানো হবে উমাকে। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সরবর মেট্রো, সেখান থেকে মন্দিরতলা গামী যে কোনও বাস ধরে বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে পার্বতী সিনেমা হলের নিকটে এই পূজা মন্ডপ।