বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার আজ শততম জন্মশতবার্ষিকী|তাঁর জন্মদিনটিকে জাতিসংঘ ‘নেলসন ম্যান্ডেলা দিবস’ বলে ঘোষণা করেছে|আফ্রিকায় নেলসন ম্যান্ডেলা ‘মাদিবা’ নামে তাঁর গোত্রের কাছে পরিচিত ছিলেন যার অর্থ ‘জাতির জনক’|গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দক্ষিন আফ্রিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন নেলসন ম্যান্ডেলা|১৯৯৪ থকে ১৯৯৯সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে|দক্ষিন আফ্রিকার এক অভিজাত পরিবারে জন্ম তাঁর|আইন বিষয়ে পড়াশুনা করার পর তিনি একজন আইনজীবী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করলেও, পরবতীকালে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন তিনি| আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগদান করেন,১৯৬২ সালে আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ও তাঁর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয় সেইসময় তিনি রবেন দ্বীপে অধিকাংশ সময় ছিলেন||দীর্ঘ ২৭বছর কারাবাসের পর ১৯৯০-র ১১ই ফেব্রুয়ারী তিনি কারামুক্ত হন|কারাবাস মুক্ত হয়ে তিনি দক্ষিন আফ্রিকার বর্ণবাদের অবসান ঘটান|১৯৯৪য় সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহনে আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্রের| ১৯৯৭য়ে বাংলাদেশ আসেন তৎকালীন আফ্রিকান প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, সেটিই ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ বাংলাদেশ ভ্রমন|চেয়েছিলেন আম খেতে|কিন্তু মার্চ এপ্রিল মাসে আম খাওয়া সম্ভব নয় বলে সেই সাধ পূরণ করা সম্ভব হয়নি|তিনি ছিলেন বাংলাদেশের এক অকৃত্তিম বন্ধু|২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিনদিনের শোক পালন করা হ্য়|গণতন্ত্রের প্রতিক নেলসন ম্যান্ডেলা ২৫০টিরও বেশি পুরস্কার জিতেছেন|যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত সরকার প্রদত্ত ১৯৯০-র ‘ভারতরত্ন পুরস্কার’, ১৯৯৩-র ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ জিও বাংলার পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা|