নন্দলাল বসুর ছবির প্রদর্শনী ভেনিসে

মহাত্মা গান্ধী, নন্দলাল বসুকে অনুরোধ করেন এমন কিছু আঁকতে যেখানে দেশের মানুষের জীবন ধরা দেয়। দেশের জাতীয়তাবাদের মূল সুর ফুটে ওঠে

 দেশিয় লোকচিত্রের ধারায় প্রায় ৪০০ টি ছবি এঁকেছিলেন নন্দলাল বসু। কিছু সম্পূর্ণ একা, কিছু ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে।

১৯৩৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে গুজরাটের হরিপুরায় জাতীয় কংগ্রেস দলের সম্মেলনের স্টেজে দেখা গিয়েছিল নন্দলাল বসুর এইরকম ৮৩ টি ছবি। যেখান থেকে এই সিরিজের নাম হয়ে যায় হরিপুরা সিরিজ’। ‘হরিপুরা পোস্টার’ নামে যা বেশি জনপ্রিয়। কালীঘাট পটশৈলীতে আঁকা ছবিগুলিতে ভারতবর্ষের প্রান্তিক গ্রাম জীবন উঠে এসেছিল। সহজ অথচ স্পষ্ট রেখায়, উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে কামার, দর্জি, বীণা বাদক, এস্রাজ বাদক, কাজে ব্যস্ত মহিলা, এমন সব যাপন মুহূর্তই অসাধারণ হয়ে ওঠে তাঁর তুলির টানে। বুল ফাইটার’ সেরা ছবি।      

ভারতবর্ষে রাজনীতির মঞ্চ আগে কখনও এমন শিল্পময় হয়ে ওঠেনি। যখন দেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন প্রবল হয়ে উঠেছে  দেশের প্রতিটা কোণে প্রতিটা মানুষই যে ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। 

 

নন্দলাল বসুর ‘হরিপুরা সিরিজ’ এবার দেখা যাবে ভেনিস বিয়েন্যালে ফেস্টিভ্যালে। ১১ মে থেকে শুরু হবে প্রদর্শনী। ভেনিস বিয়েনাল পৃথিবীর সেরা আর্ট শো'গুলোর অন্যতম। ভারত সরকারের 'মিনিস্ট্রি অব কালচার গ্লোবাল সামিট'-এর জন্য নন্দলাল বসুর হরিপুরা সিরিজ নির্বাচন করে। আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ ১২৪ বছরের পুরনো এই শিল্পপ্রদর্শনীতে ভারতের প্রবেশ ২০১১ সালে। সেই বছরই এই প্রদর্শনীর দরজা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ আট বছর পর আবার ভারতীয় প্যাভেলিয়ন ভেনিস বিয়েনালে। 

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছাত্র ছিলেন নন্দলাল বসু। পরে কলাভবনের অধ্যক্ষ হন। নন্দলাল আধুনিক ভারতের প্রাচীরচিত্র পুনরুজ্জীবনে নেতৃত্ব দেন। ভারতীয় সংবিধানের সচিত্র সংস্করণও নন্দলাল বসু অলংকৃত করেন। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...