পেটের দায়, বড় দায় তাই তো প্রত্যেকদিন দুই বেলা দু মুঠো অন্ন-র যোগারে প্রত্যেকদিন কর্মস্থলে ছোটে সাধারণ মানুষ। বেকারত্বের জ্বালা যে কি জ্বালা তা শুধুমাত্র একজন বেকার-ই বোঝে। তাই নিদৃষ্ট কোনও ধর্ম না, কর্মই হোক মানুষের একমাত্র ধর্ম, এই আর্জি নিয়েই মানুষের কাছে পৌঁছতে চায় উত্তর কলকাতার নলিন সরকার স্ট্রিট।
তাদের ২০১৯ শরদোৎসবের থিম “কর্ম-ই ধর্ম”। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলা-র স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেল এই পূজা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সান্যাল ও থিম শিল্পী মানস দাস। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে পুজোর আড্ডা@জিয়ো বাংলায়, জেনে নিলাম তাদের পুজোর বিষয়ে। এইবছর ৮৭তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো।
২০০০ সালে সাবেকিয়ানা ছেড়ে থিম পুজোয় প্রবেশ করেন তারা। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। যত বছর পেরিয়েছে তত উত্তর কলকাতার এক বিখ্যাতে পুজো হয়ে উঠেছে নলিন সরকার স্ট্রিট। নবমীর দিন এক এলাহি খাওয়া দাওয়ার বন্দবস্ত করা হয় পূজা কমিটির তরফ থেকে। পুজোর কটা দিন দর্শনার্থীদের ভিড় সামলানোর জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অগ্নিকান্ড এড়াতে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ছাড়াও প্যান্ডেল লাগোয়া বাড়ির ছাদে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থাও রাখেন তারা। দশমীর দিন সিঁদুর খেলার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী কে। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রো-তে উঠে নামতে হবে শ্যামবাজার মেট্রো, সেখান থেকে হাতি বাগান মার্কেট হয়ে একটু হাঁটলেই খান্নার নিকটে এই পূজা মন্ডপ।