প্রাচীন শহর তথা ঐতিহ্যের শহর নবদ্বীপ পেতে চলেছে হেরিটেজ শহরের তকমা। রাজ্যে এই প্রথম কোনও শহর হেরিটেজ তকমা পাচ্ছে বলে দাবি করছে নবদ্বীপ পুরসভা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভিটে, বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রধান তীর্থস্থান।
নবদ্বীপ পুরসভাকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে নবদ্বীপ শহরকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হবে। কিন্তু ঠিক কবে এই শহরে নতুন পালক জুড়বে, তা জানানো হয়নি। তবে ওই তকমা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে নবদ্বীপ পুরসভা। তার মধ্যে অন্যতম হল শহরের নিকাশি ব্যবস্থা। এই পুরসভা স্থাপিত হয় ১৮৬৯ সালে। তবে শহরটি হাজার বছরের বেশি পুরোনো। বাংলার সেন রাজাদের আমলে এখানকার রাজধানী শহর ছিল নবদ্বীপ। শহরটি ছিল প্রাচীন বাংলা তথা ভারতের শিক্ষা দানের একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা। এখানকার সংস্কৃতে শিক্ষাদানের জন্য 'টোল' ছিল সেই সময়ে যথেষ্ট সুপ্রসিদ্ধ। বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে এখানে ছাত্ররা পড়তে আসত। নবদ্বীপ শহরকে বলা হয় ‘বাংলার অক্সফোর্ড’।
এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। এখান থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বৈষ্ণব ধর্ম। এই শহর ও তার পাশে মায়াপুর শহর জুড়ে চৈতন্য মহাপ্রভু এবং বৈষ্ণব ধর্মের বিকাশের নানা নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। কাজেই শহরটি হেরিটেজের তকমা পেলে রাজ্যের উপযুক্ত একটি শহর যে হেরিটেজ শহরে আখ্যায়িত হবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।