অতীতের তাম্রলিপ্ত আজকের তমলুক শহর। ঐতিহাসিক গ্রন্থ, শিলালিপির সঙ্গে সঙ্গে মহাভারতেও বিশেষভাবে উল্লেখ আছে। তাম্রলিপ্ত নগরী ভ্রমণ করেছিলেন কুন্তী সহ পঞ্চ পাণ্ডব। শোনা যায় এই মন্দিরের নাম দিয়েছিলেন কৌরব জননী গান্ধারী।
চক্রেশ্বর শিব মন্দির পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরের মাঝখানে অবস্থিত। মন্দিরসম্পর্কে শোনা যায় একাধিক কাহিনি।
মহাভারতে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে, পান্ডবদের অজ্ঞাতবাসের সময় পঞ্চপান্ডবসহ কুন্তী ও দৌপ্রদী পুজো দিয়েছিলেন এই শিব মন্দিরে।
অন্য একটি কাহিনি বলে, কৌরব জননী গান্ধারী নিজের পুত্র সন্তানদের সঙ্গে পুজো দিতে এসে শিবের ছলনার কারণে পুজো দিতে না পেরে ভগবান শিবকেই অভিশাপ দেন।
মহাদেবের চক্রান্তের কারণেই গান্ধারী পুজো দিতে পারেনি। তাই গান্ধারী নাম রাখেন চক্রেশ্বর।
চক্রেশ্বর মন্দির মোট চারটি শিবের লিঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি স্বয়ং প্রকটিত। কথিত আছে বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যুধিষ্ঠির ভীম ও অর্জুন।
এই শিবমন্দিরটি পশ্চিমমুখী শিব মন্দির। প্রতিদিন সকালে শিবের পুজো হয়। প্রতি সোমবার মহাদেবের বিশেষ পুজো হয়। এছাড়াও শিবচতুর্দশী তিথিতে বিশেষ পুজো পাঠ হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসে গাজন ও চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজো হয়। চক্রেশ্বর শিব মন্দিরটি তাম্রলিপ্ত পৌরভবন এর কাছেই অবস্থিত।আজও এই মন্দির ঘিরে মহাভারতের কাহিনির সংযোগ মানুষকে টেনে আনে মন্দির দর্শনে।