কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া বিষয়ের ভিতর লুকিয়ে থাকে নানা রহস্য। আর এমনই হারিয়ে যাওয়া একটি পাণ্ডুলিপি যদি হয় আইনস্টাইন মহাশয়ের ! ৯০ বছর আগে এমন একটি পাণ্ডুলিপি হারিয়ে গিয়েছিল অ্যালবার্ট আইনস্টাইন-এর। এই পাণ্ডুলিপিতেই নাকি রয়েছে সৃষ্টির রহস্য জানার উপায়। ৯০ বছর আগে অঙ্কের পর অঙ্ক করে ব্রহ্মান্ডের দুটি ফোর্স বা বলকে এক করে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন আইনস্টাইন। তাঁর ১০১ পাতার পাণ্ডুলিপিটি সম্প্রতি পাওয়া গেছে ইজরায়েলের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে |
গ্রাভিটেশন ফোর্স বা অভিকর্ষ বলের এবং ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফোর্স বা তড়িৎচুম্বকীয় বল দুটিকে একটি বিন্দুতে মিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন আইনস্টাইন। যে কারণে আপেল গাছ থেকে সোজা মাটিতে পড়ে ; ঠিক সেই কারনেই পৃথিবীর কাছে এসে অন্য গ্রহাণু ছিটকে আসে পৃথিবীর দিকে – আর এই ঘটনা ঘটে অভিকর্ষ বলের কারণে । অন্যদিকে তড়িৎচুম্বকীয় বল হল- যার তড়িৎকণা কোনো পরিবাহীর একপ্রান্ত থেকে ছুটে যায় অন্যপ্রান্তে বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিবাহিত হয়ে। সৃষ্টির আদি থেকে এখনো অব্দি যা কিছু ঘটে চলেছে তা এই দুটি বলকে ঘিরেই।
১৯৮৮ থেকে ১৯৪৮ সন অব্দি অংকের নানা হিসাবে ভরে গেছে আইনস্টাইনের পান্ডুলিপিটি। ব্রাহ্মণের সৃষ্টির রহস্য-এর খোঁজে দুটি মূল চালিকা শক্তিকে মেলাতে অংকের পথ ধরে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন অনেক দূর, তারই প্রমান রয়েছে পান্ডুলিপিতে । ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৫, সাত বছর পর মৃত্যু হয় বৈজ্ঞানিক-দার্শনিক আইনস্টাইনের। এত বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছিল তার এই হিসাবের খাতা। জানা যায় ,১৯৩০ সালে প্রুসিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে আলোচনার উদ্দেশ্যে এই নথিপত্রটি সাবমিট করেছিলেন বিজ্ঞানী। এতদিনে সেটি খুঁজে পাওয়ার পর ,নথিপত্রের সাথে পাওয়া গেল বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সংযোজনী। সম্প্রতি শিকাগোর একটি ফাউন্ডেশনকে আইনস্টাইনের ৮০ হাজার নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়টি। যার ভিতর অন্যতম এই নথিপত্রটিও। নথিগুলো নর্থ ক্যারোলিনের একজন সংগ্রাহকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল শিকাগোর ফাউন্ডেশনটি।
খুঁজে পাওয়া পান্ডুলিপিটি কোন পথে নির্দেশ দেবে এখনকার সৃষ্টিরহস্য পিপাসুদের , না মেলানো অংকের পথ সৃষ্টিরহস্যের কোন মোড়কে ইঙ্গিত করবে সেটাই জানার ইচ্ছে বর্তমান বিশেষজ্ঞদের।