সুন্দর হাসির রহস্য

মাধুরী দীক্ষিতের ভুবন ভোলানো হাসির প্রেমে কমবেশি সকলেই পড়েছিলেন। আজও তার হাসির মোহে মোহিত হয়ে আছেন তার ভক্তগণ। আর এই ভুবন ভোলানো হাসির জন্য দাঁতগুলি মুক্তোর মতো ঝকঝকে হওয়া একান্তই প্রয়োজন। প্রতিদিনের নানা মশলাযুক্ত খাবার, বাইরের জাঙ্কফুড প্রভৃতি দাঁতকে দিনের পর দিন নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করে তুলছে। এছাড়াও পানীয় জলে যদি আয়রন থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। শিশুদের বেলায় চকোলেট, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি প্রভৃতি দাঁতের ক্ষতি করতে থাকে। কি করলে পাওয়া যাবে মুক্তোর মতো ঝকঝকে এবং স্বাস্থ্যবান দাঁতের সারি? চলুন জেনে নেওয়া যাক..............

 

ডেন্টিস্টরা জানাচ্ছেন, দাঁতের আকার যেহেতু সমতল হয় না তাই দাঁতের মধ্যে অনেক ভাঁজ থাকে। তাছাড়া সকলের দাঁতের গঠনও এক হয় না। ফলে গঠনগত ফাঁকা দাঁতের আছে থেকেই যায়। সেইসব জায়গায় খাবার খাওয়ার পরে খাবারের কুঁচি থেকে যায়। দীর্ঘদিন এইভাবে খাবারের অংশ দাঁতে জমার ফলে ধীরে ধীরে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। এর ফলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে দাঁতের ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যাও পরিলক্ষিত হয়। ডেন্টিস্টরা জানাচ্ছেন, দাঁতের যত্ন নেওয়া এমন কিছু কঠিন কাজও নয়। সারাদিনের বাকি কাজের মতো দাঁতের যত্নের দিকটি একটু খেয়াল রাখলেই দাঁতের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

ডেন্টিস্টদের মতে, সারাদিনে দুইবার ব্রাশ করা উচিত আর দিনে দুবার করে ব্রাশ করলে এক একটি ব্রাশ তিন সপ্তাহের বেশি টেকার কথা নয়। তিন সপ্তাহ পরে যদি দেখেন ব্রাশের ব্রিসলগুলো এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে, সঙ্গে সঙ্গে তা বদল করে ফেলুন।

 

এমন ব্রাশ ব্যবহার করুন যেই ব্রাশের ব্রিসলগুলি দাঁতের কোনায় কোনায় খুব সহজভাবে পৌঁছাতে পারবে। ডেন্টিস্টরা জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করার সময় কখনোই অতিরিক্ত প্রেসার দেওয়া উচিত নয়। সেরকমই আবার খুব হালকা হাতে ব্রাশ করাও উচিৎ নয়

 

প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে ভালো করে মুখ ধোয়ার অভ্যেস করুন। ভালো করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। ডেন্টিস্টরা জানাচ্ছেন, দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা থেকে যাওয়ার ফলে দাঁতের নানা সমস্যা তৈরী হতে পারে।

 

দাঁতের সমস্যা থেকে বাঁচতে যে সে মাজন ব্যবহার নৈব নৈব চ। সবসময় ডেন্টিস্টদের পরামর্শমতো মাজন ব্যবহার করা উচিৎ। অনেকসময় আমরা নিজেদের ইচ্ছে মতো মাজন কিনে ফেলি। টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে পছন্দ হলেই আমরা বাজারে গিয়ে সেই প্রোডাকটি খুঁজতে থাকি কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেখে মাজন নির্বাচন না করার পরামর্শ দিচ্ছেন অধিকাংশ ডেন্টিস্ট

 

দাঁতে যদি গঠনগত কোনো ত্রুটি থাকে তাহলে শিশুকালে দাঁত ওঠার পর থেকেই নানা সমস্যা প্রকাশ পেতে শুরু করে। সেইসব ক্ষেত্রে শিশু বয়স থেকেই দাঁতের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া উচিৎ। শিশুবয়স থেকেই দিনে দুইবার দাঁত মাজার অভ্যেস করা ভালো।

 

ডেন্টিস্টরা জানাচ্ছেন, লবঙ্গ দাঁতের জন্য খুব ভালো। তাই খাবার খাওয়ার পরে মুখে লবঙ্গ রাখার চেষ্টা করুন। এতে মুখে দুর্গন্ধও হবে না আর দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে

 

চা বা কফির নেশা থাকলে ডেন্টিস্টদের মতানুযায়ী তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও ধূমপান করার অভ্যেস থাকলে সেটিও বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তামাকের দাগ একবার দাঁতে বসে গেলে তা তোলা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়।এছাড়া ধূমপানের আরও নানা ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তাই ধূমপান অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...